নারী শক্তির এমন কাহিনী, যা আপনাকে শ্রদ্ধায় মাথা অবনত করতে বাধ্য করবে
মধ্যপ্রদেশের কান্তি স্টেশনে মহিলা কুলি সন্ধ্যা। স্বামীর হঠাৎ মৃত্যুই তাকে এই কাজ নিতে বাধ্য করে। ৩ সন্তানসহ অসুস্থ শাশুড়ি নির্ভর করেন তাঁর ওপরই
সন্তানের জীবনে বাবা-মায়ের ভূমিকা অতুলনীয়। কিন্তু মায়ের ভূমিকা যে অপরিসীম তা প্রমাণিত হয়েছে বারবার। কিন্তু একজন মা তাঁর সন্তানদের জন্য কীকী করতে পারেন তা জানলে বিস্মিতই হবেন। নারী শক্তির এমন কাহিনী, যা আপনাকে শ্রদ্ধায় মাথা অবনত করতে বাধ্য করবে।
সন্ধ্যা মারাভি নামের মহিলা মধ্যপ্রদেশের কান্তি রেল স্টেশনে কুলির কাজ করেন। কিন্তু বছর ত্রিশের ওই মহিলা কেন বেছে নিলেন এই পেশা।
হঠাৎই মৃত্যু হয় সন্ধ্যা মারাভির স্বামী ভোলারামের। তিন সন্তান ৮ বছরের সাহিল, ৬ বছরের হরসিত এবং ৪ বছরের পায়েলকে নিয়ে অথৈজলে পড়েন সন্ধ্যা। বাড়িতে রয়েছেন অসুস্থ শাশুড়ি। এই অবস্থায় বিশেষ করে সন্তানদের পড়াশোনার জন্য নিজেই নিজের কাজ খুঁজে নেন। কুলির পেশাকেই বেছে নেন সন্ধ্যা।
প্রতিদিন গ্রামের বাড়ি থেকে ২৭০ কিমি পথ পেড়িয়ে সন্ধ্যা যান কান্তি রেল স্টেশনে । জব্বলপুর থেকে ৭০ কিমি দূরে এই কান্তি স্টেশন। এরপর সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি। পরিবারের জন্য যতটুকু প্রয়োজন।
সন্ধ্যা চান তাঁর সন্তানরা সবাই সেনাবাহিনীতে যোগ দিক, সেনা অফিসার হোক।