কেন চাইলেও আবু সালেমকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারল না টাডা আদালত
আবু সালেমকে চাইলেও মৃত্যুদণ্ড দিতে পারল না টাডা আদালত। কেন? জেনে নিন বিস্তারিত।
মুম্বইয়ে ১৯৯৩ সালের বিস্ফোরণ মামলায় গ্যাংস্টার আবু সালেমকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছে বিশেষ টাডা আদালত। এদিন তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সবমিলিয়ে মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে এদিন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
গত জুন মাসে আবু সালেম (৪৮), তাহের মার্চেন্ট (৫৫), ফিরোজ খান (৪৭), করিমুল্লাহ খান (৫৫)-কে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, খুন, সন্ত্রাসবাদের ধারায় দোষী ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি রিয়াজ সিদ্দিকি (৬৭)-কে সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দেওয়া সহ অন্য অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার প্রেক্ষিতে এদিন আবু সালেমকে যাবজ্জীবন, তাহের মার্চেন্টকে মৃত্যুদণ্ড, ফিরোজ খানকে মৃত্যুদণ্ড, করিমুল্লাহ খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও রিয়াজ সিদ্দিকিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বীভৎসতা দেখে সব অপরাধীরই মৃত্যুদণ্ড হোক এমনটাই রব উঠেছে বা প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। তবে সিবিআইয়ের আইনজীবী তাহের মার্চেন্ট, ফিরোজ খান ও করিমুল্লাহ খানের ফাঁসির সাজা চাইলেও সালেম ও সিদ্দিকির যাবজ্জীবনের সাজা চান।
রিয়াজ সিদ্দিকির অপরাধের গুরুত্ব অন্যদের চেয়ে কম হওয়ার তার ক্ষেত্রে লঘু সাজা চাওয়া মানা যেতে পারে। তবে কেন আবু সালেমেরও ফাঁসির সাজা না চেয়ে যাবজ্জীবন চাওয়া হয় তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়।
পরে জানা যায় এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। ২০০৫ সালে পর্তুগাল থেকে আবু সালেমকে গ্রেফতার করে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী এদেশে আনা হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী লিসবন আদালতের শর্ত অনুযায়ী আবু সালেমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না।
পাশাপাশি সালেম আইনজীবী মারফত এটাও দাবি করেছে যে তাকে ২৫ বছরের বেশি জেলেও রাখতে পারবে না ভারত সরকার। পর্তুগাল সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের সেরকমই চুক্তি রয়েছে। ফলে সেরকম হলে আবু সালেম প্রায় ১২ বছর জেল খেটে ফেলেছে। বাকী সর্বোচ্চ ১৩ বছর জেলে কাটাতে হবে। সেই অনুযায়ী আঈআবু সালেমকে ফাঁসি না দিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।