১৮ এপ্রিলের দ্বিতীয় দফা মায়াবতীর কাছে মাছের চোখ; বিজেপির সাম্রাজ্যে আঘাত হানার মোক্ষম সুযোগ
দু'হাজার ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে আগামী ১৮ এপ্রিল। ওইদিন, সারা দেশের মোট ৯৭টি আসনে ভোট হবে যার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের আটটি।
দু'হাজার ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে আগামী ১৮ এপ্রিল। ওইদিন, সারা দেশের মোট ৯৭টি আসনে ভোট হবে যার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের আটটি। রাজ্যের মোট ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রে এই নির্বাচনের সাতটি দফাতেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম দফাতেও উত্তরপ্রদেশের আটটি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দফায় উত্তরপ্রদেশের আটটি আসনের চারটি সংরক্ষিত
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনটি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার প্রধান কারণ, ১৮ এপ্রিলের লড়াইয়ের এক বড় অংশ দলিত কেন্দ্রগুলিতে সম্পন্ন হবে। যে আটটি কেন্দ্রে ওই দিন ভোটগ্রহণ হবে, তার মধ্যে চারটি সংরক্ষিত তফসিলি জাতিদের জন্যে। এই চারটি আসন হল নাগিনা, আলীগড়, হাথরাস এবং আগ্রা। দু'হাজার চোদ্দোর সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি ওই আটটি আসনেই জয়লাভ করে।
এবারে বিএসপি সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং রাষ্ট্রীয় লোক দল-এর (আরএলডি) সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ছে এবং ১৮ এপ্রিলের আটটি আসনের মধ্যে তারা প্রার্থী দিয়েছে ছয়টিতে। এসপি এই আটটির মধ্যে প্রার্থী দিয়েছে মাত্র একটিতে -- হাথরাস-এ।
দলিত এবং মুসলমান ভোট এক বড় ভূমিকা পালন করবে ১৮ এপ্রিল
১৮ এপ্রিলের লড়াই তাই জোরদার হতে চলেছে বিএসপি এবং বিজেপি-র মধ্যে। আটটি কেন্দ্রে রয়েছে দলিত, মুসলমান, জাঠ এবং গুজ্জরদের এক বড় ভোটব্যাঙ্ক এবং যুযুধান বিজেপি এবং মহাজোট কেউই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না। নাগিনা, আমরোহা, আগ্রা এবং আলীগড়-এ যেখানে দলিত এবং মুসলমানদের জনসংখ্যা যথাক্রমে ৪০ এবং ৫০ শতাংশ, সেখানে হাথরাস, বুলন্দশহর, ফতেহপুর সিক্রি এবং মথুরাতে বেশ বড় সংখ্যক জাঠ এবং গুজ্জরদের বাস।
২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি তার আগের বছরের মুজফ্ফরনগরের দাঙ্গার ইস্যুটিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য এনে জয়লাভ করেছিল। এবারে যদিও রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সেই দাঙ্গার স্মৃতি উস্কে ফের ফায়দা তুলসিতে চেয়েছেন, কিন্তু সেটা কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যায়। এমনকী, প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার ভূতকে পরাজিত করতে বিজেপি এবারে তাদের সংরক্ষিত দু'টি আসন থেকে সাংসদ প্রার্থীদের বদলও করেছে যা থেকে বোঝা যায় যে গেরুয়াবাহিনী কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না।
লক্ষ্য অ-দলিত ভোটও
অন্যদিকে, মহাজোটের সদস্যরা যেমন নির্বাচনের আগে দলিত এবং মুসলমান ভোটারদের সংঘবদ্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্যে, তেমনই লক্ষ্য রাখছে সংরক্ষিত কেন্দ্রগুলিতে অ-দলিত ভোটারদের কীভাবে কাছে টানা যায়। ২৩ মে-র মহাটক্করে জিততে দুই পক্ষই এখন এই বিষয়টি নিয়েও রণনীতি তৈরিতে ব্যস্ত। আগেরবারে লোকসভাতে একটি আসনও পায়নি মায়াবতীর বিএসপি। এবারে তাই নেত্রীর মরিয়া লড়াই।