For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে কেন বারবার দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে চিন-আমেরিকা, জানুন খুঁটিনাটি

দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে চিন বারবার হুঁশিয়ার করে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশকে। তবে কেন এই এলাকার দখল ছাড়তে রাজি নয় কেউ? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

  • |
Google Oneindia Bengali News

দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে এশিয়ার কয়েকটি দেশ বহুবছর ধরেই বিবাদে লিপ্ত। মূল বিবদমান পক্ষের একদিকে রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী চিন। ও অন্যদিকে রয়েছে ভিয়েতনাম, তাইওয়ান ও ফিলিপিন্সের মতো দেশ। চিন এই দেশগুলিকে বঞ্চিত করে দক্ষিণ চিন সাগরের দখল নিজের হাতে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। ওই এলাকায় নৌবাহিনী পাঠিয়ে, যুদ্ধ জাহাজের মহড়া দিয়ে বারবার এই এলাকা নিজেদের বলে দাবি করছে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ চিন সাগরে বালির প্রাচীর তৈরি করে দ্বীপ বানিয়ে সেখানে আধিপত্য স্থাপন করতে চাইছে। যাতে বাধা দিয়েছে বাকী পড়শি দেশগুলি। এবং তাদের সমর্থন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ। ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্সদের সামরিক সাহায্য করছে আমেরিকা। ফলে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে চিন বারবার হুঁশিয়ার করে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশকে। তবে কেন এই এলাকার দখল ছাড়তে রাজি নয় কেউ? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

চিন একা দখল করে রেখেছে

চিন একা দখল করে রেখেছে

দক্ষিণ চিন সাগরের মোট এলাকা ৩ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৯১টি দ্বীপ ও প্রবাল দ্বীপ নিজেদের বলে দাবি করে চিন। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে, যেহেতু এই সাগরটি আন্তর্জাতিক জলসীমানায় পড়ছে, তাই এটি কারও একার অধিকার হতে পারে না। ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের মতো দেশ সবার প্রথমে দক্ষিণ চিন সাগরে দ্বীপ নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। পরে চিন এসে সকলকে সরিয়ে দিয়ে প্রায় একাই গোটা এলাকার দখল নিতে উদ্যোগী হয়েছে। যার ফলে বিবাদ শুরু হয়।

'সোনার খনি' দক্ষিণ চিন সাগর

'সোনার খনি' দক্ষিণ চিন সাগর

এই দক্ষিণ চিন সাগরের উপর দিয়ে বিশ্বের মোট জাহাজের এক-তৃতীয়াংশ চলাচল করে। সাগরের নিচে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস সহ প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডারে পরিপূর্ণ। ফলে এমন একটি লাভজনক এলাকা দখলে রাখতেই মরিয়া হয়ে উঠেছে চিন। অমীমাংসিত তথা বিতর্কিত এই জলসীমানায় কৃত্তিম দ্বীপ তৈরি থেকে শুরু করে, সামরিক মহড়া চালানো সহ নানাভাবে আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা করছে চিন। যা দেখে বিশ্ব কূটনীতিতে চিনের প্রবল প্রতিপক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধীদের একজোট করে লড়াইয়ে নেমেছে।

আমেরিকার নজরদারি

আমেরিকার নজরদারি

চিনের অভিযোগ, অন্য দেশগুলির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুখ বুজে থেকেছে। ফলে চিনের বিষয়ে নাক গলানো তাদের উচিত হবে না। তাহলে ফলাফল ভালো হবে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক কূটনীতির স্বার্থে চিনকে শক্তিশালী হতে দেওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় নজরদারি শুরু করেছে মার্কিন সেনাও। এই অবস্থায় দক্ষিণ চিন সাগর আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে একটি বড় তর্কের বিষয় হয়ে উঠতে পারে। এশিয়ার অন্তর্দেশীয় কূটনীতিতেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ছে।

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়

গতবছরে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরের উপরে একা কর্তৃত্ব করার কোনও অধিকার চিনের নেই। এই চেষ্টা করে ফিলিপিন্স সহ অন্য দেশগুলির অধিকার খর্ব করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ম্যানিলা (ফিলিপিন্স) বেজিংয়ের (চিন) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জানায়। চিন গায়ের জোরে দক্ষিণ চিন সাগর দখল করে রেখেছে এবং সেখানে একা কর্তৃত্ব করছে। অন্য কোনও দেশকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এটাই ছিল অভিযোগ। যদিও চিন এই মামলায় অংশগ্রহণ করতে অস্বীকারই শুধউ করেনি, ট্রাইব্যুনালের রায়কে মান্যতা না দিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে নিজের কর্তৃত্ব জারি রেখেছে।

English summary
Why it is important for china to retain power over South China sea, Know what is the conflict issues with Philippines, Taiwan and Vietnam
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X