এত তাড়াতাড়ি সমাধান হবে না ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ইতিমধ্যেই লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমিত করতে একাধিকবার বৈঠকে বসে ভারত-চিন। শনিবার এই দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন দুই দেশের সেনা কমান্ডাররা। চিনের মলডোয় চলে এই সামরিক পর্যায়ের বৈঠক। কিন্তু তারপরেও এত তাড়াতাড়ি এই ইস্যুতে বরফ গলবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আরও বেশ কিছুদিন চলবে ঠাণ্ডা লড়াই
চিনের দিকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর হওয়া ওই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠককে দুই দেশই ইতিবাচক বলে দেখলেও ঠাণ্ডা লড়াই এখনও বেশ কিছু দিন চলবে বলেই মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের। ইতিমধ্যেই রবিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই আলোচনাকে "সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ইতিবাচক" বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। একইসাথে দুই দেশে বর্তমানে সীমান্তে শান্তি রক্ষার পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরে আরও আলোচনা চাইছে বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে।
কি বলা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে?
এই প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "উভয় পক্ষ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তবর্তী এলাকার অবস্থা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। একইসাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চল গুলির শান্তি স্থাপন নিয়ে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে চুক্তি গুলিও বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য।
ভারতের তরফে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কি প্রস্তাব দেওয়া হয়?
এদিকে গত সপ্তাহ থেকেই লাদাখ সীমান্তের প্যাংগং লেক বরাবর একাধিক ফিঙ্গারে বারংবার নিজেদের অবস্থান পাল্টে দেখা গেছে লাল-ফৌজকে। আর এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে ভারত। সূত্রের খবর, পুরনো স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ওই দিনের বৈঠকেই প্যাংগং লেক সংলগ্ন এলাকা থেকে চিনের কাছে দ্রুত স্থল ও বায়ু সেনা সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করে ভারত। পাশাপাশি গালওয়ান উপত্যকা, এবং গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে সেনা প্রত্যাহারেরও প্রস্তাব দেওয়া হয় ভারতের তরফে।
আর জটিল হতে পারে সম্পর্ক, বলছেন প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত
এদিকে ২০১৮ সালে মোদী-জিনপিং বৈঠকের রেশ ধরেও দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতির কথা বলতে দেখা যায় বিদেশ মন্ত্রকে। ওই বিবৃতিতে এই প্রসঙ্গে আরও বলা হয়, " ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের এটা ৭০ বছর। আর সেই উপলক্ষে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে উভয় পক্ষই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাইছে। এক সময় চিনে কাজ করা প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত গৌতম বম্বোওয়ালে অবশ্য সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টিকে দেখা কথা বলেন। তার মতে, "এটা ভারতের বক্তব্য। চিন কী বলছে এটা আমাদের শুনতে হবে। যদিও তারা এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি নাও দিতে পারে। তাই এই ক্ষেত্রে আলোচনা গুলি আরও দীর্ঘমেয়াদী ও জটিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।"