সবার নজর কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই বালার দিকে, জেনে নিন তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার সম্পর্কে
নরেন্দ্র মোদীর জন্য গুজরাতে নিজের জেতা কেন্দ্র ছেড়ে দিতে দু'বার ভাবেননি বাজুভাই বালা।
নরেন্দ্র মোদীর জন্য গুজরাতে নিজের জেতা কেন্দ্র ছেড়ে দিতে দু'বার ভাবেননি বাজুভাই বালা। আদ্যন্ত গেরুয়া ভাবনার মানুষ বাজুভাই এই মুহূর্তে কর্ণাটকের রাজ্যপাল। একদিকে তাঁর নিজের দল বিজেপি ও অন্যদিকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সব দলের সঙ্গেই দেখা করেছেন তিনি। তবে এখনও নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। এক্ষেত্রে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বাজুভাই বালার রাজনৈতিক কেরিয়ার সম্পর্কে।
রেকর্ড জয়ী বালা
বাজুভাই বালা রাজকোট পশ্চিম কেন্দ্র থেকে গুজরাত বিধানসভায় রেকর্ড সংখ্যক মোট সাতবার জেতেন। তিনি একসময়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিও ছিলেন। এছাড়া গুজরাত বিধানসভার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বও সামলেছেন।
মোদীর জন্য আসন ত্যাগ
তবে ২০০২ সালে দলের প্রয়োজনে নরেন্দ্র মোদীর জন্য নিজের জেতা আসন ছেড়ে দেন বাজুভাই। সেটাই তাঁকে প্রথমবার সারা দেশের সামনে লাইমলাইটে নিয়ে আসে। এককথায় নিজের এতবারের জেতা আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন বাজুভাই।
বিজেপি প্রদেশ সভাপতি
১৯৮৫ সাল থেকে দলের প্রদেশ সভাপতি থাকার পরে বাজুভাই নরেন্দ্রভাইয়ের জন্য সভাপতি পদ ছেড়ে দেন। তিনবার দলের সভাপতি থেকেছেন তিনি। দলের বিপদে বারবার ছুটে এসেছেন। প্রথমদিন থেকেই আদ্যন্ত দলগত সৈনিক তিনি।
মোদীর আমলে মন্ত্রী
১৯৭১ সালে ভারতীয় জন সংঘে যোগ দেন বালা। মোদীর আমলে নয় বছর অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরে মোদী ২০১৪ সালে কেন্দ্রের নেতৃত্বে এলে বালাকে রাজ্যপালের পদ দেওয়া হয়। তার আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি গুজরাত বিধানসভার অধ্যক্ষের কাজে যোগ দেন।
মোদীর কাছের মানুষ
১৯৩৮ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া বালা গুজরাতের অর্থমন্ত্রী হিসাবে মোট ১৮ বার বাজেট পেশ করে রেকর্ড গড়েছেন। কেশুভাই প্যাটেলের অত্যন্ত কাছের মানুষ বালা পরে নরেন্দ্র মোদীও খুব কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন।
মেয়র হিসাবে শুরু
২৬ বছর বয়সে জনসংঘে যোগ দিয়ে বালা ১৯৭৫ ও ১৯৮৩ সালে রাজকোট পুরসভা নির্বাচনে জেতেন এবং রাজকোটের মেয়র হন। তারপরে কেশুভাই প্যাটেলের মন্ত্রিসভার সদস্য হন। এবং পরে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় দীর্ঘদিন কাজ করেন।