হরিবংশ নারায়ণ সিং কে! রাজ্যসভার নবনিযুক্ত ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্পর্কে জেনে নিন একনজরে
বিহারের বালিয়ায় ১৯৫৬ সালের ৩০ জুন জন্ম হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের।
বিহারের বালিয়ায় ১৯৫৬ সালের ৩০ জুন জন্ম হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের। তিনি এনডিএ-র প্রার্থী হিসাবে ১২৫টি ভোট পেয়ে রাজ্যসভার ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। সারং জেলার সিতাব দিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন হরিবংশ। এই গ্রাম থেকেই উঠে এসেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জয়প্রকাশ নারায়ণ। পরে প্রাক্তন আর এক প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের আমলে কেন্দ্রে আমলা পদে কাজও করেন হরিবংশ। খুব কাছের মানুষ ছিলেন চন্দ্রশেখরের।
অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ও সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা পাশ করেছেন হরিবংশ। ব্যাঙ্কের উচ্চ বেতনের চাকরি ছেড়ে সমাজসেবকের মতো জীবন অতিবাহিত করেছেন। সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজকে বদলে দিতে চেয়েছেন। বৈভবের মধ্যে থাকার সুযোগ পেয়েও সহজ-সরল জীবন ও অনুষঙ্গকে বেছে নিয়েছেন। দীর্ঘ কয়েক দশক সাংবাদিকতা করে সমাজ জীবনে বদল আনার চেষ্টা করেছেন হরিবংশ।
প্রভাত খবরের সম্পাদক
সাংবাদিক হিসাবে হরিবংশ প্রভাত খবরের সম্পাদক ছিলেন। বিহারের এই জেডিইউ সাংসদ ১৯৯০ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৯১ সালের জুন মাস পর্যন্ত কেন্দ্রে অ্যাডিশনাল ইনফরমেশন অ্যাডভাইজার ছিলেন।
১৯৭৭ সালে কর্মজীবন শুরু
১৯৭৭ সালে ধর্মযুগ হিন্দি সাপ্তাহিক দিয়ে কাজ শুরু করেন হরিবংশ। পরে ব্যাঙ্কের পরীক্ষা দিয়ে ২ বছর হায়দরাবাদে ব্যাঙ্ককর্মী হিসাবে কাজ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি পাটনায় ফিরে আসেন। তারপরে হিন্দি সাপ্তাহিক রবিবারে কাজ শুরু করেন অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসাবে।
কলকাতায় কাজ
এই পত্রিকার মালিকানা ছিল আনন্দবাজার পত্রিকার। তাই বেশ কয়েকবছর কলকাতায় থেকে কাজ করেছেন হরিবংশ। ১৯৮৯ সালে রাঁচিতে প্রভাত খবরে যোগ দেন তিনি। পরে এই পত্রিকার সম্পাদক হন। ২০১৪ সালে রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার পরে সম্পাদকের পদ ছেড়ে দেন।
|
১৯টি বইয়ের সম্পাদনা
হরিবংশ নারায়ণ ১৯টি বই লিখেছেন অথবা সম্পাদনা করেছেন। ওয়ার্ল্ড এডিটর্স ফোরামের সদস্যও তিনি। বিভিন্ন বিলুপ্ত হতে চলা ভাষাকে রক্ষায় তিনি অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। এছাড়া হিন্দি ভাষার উৎকর্ষতা বাড়াতেও তাঁর অবদান ভোলার নয়।