
জানেন বিশ্বের ধনী রাজনীতিবিদের তালিকায় কারা আছেন, তাদের সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চমকে যাবেন!
আমরা ধনী ব্যক্তিদের কথা শুনেছি। তবে ধনী রাজনীতিবিদের কথা প্রায় শুনিনি বলেই চলে। তবে রাজনীতির মানে অন্য এক টান! যাঁরা রাজনীতি করেন বা রাজনীতির শীর্ষে বসে আছেন তাঁদের বুদ্ধি যে প্রবল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেমন ধরুন মাইকেল বুলুমবাগ থেকে সাবিত্রী জিন্দাল, বিশ্বের ধনী রাজনীতিবিদদের মধ্যে একজন। সেই তালিকায় আর কে কে পড়ছেন তা জেনে নিন।

সাবিত্রী জিন্দাল
বর্তমানে জিন্দাল গ্রুপ অফ কোম্পানিসের চেয়ারপার্সন তিনি। দেশের সবচেয়ে ধনী নারীর মধ্যে তিনি একজন। ১৯৭০ সালে ওমপ্রকাশ জিন্দালের সঙ্গে বিয়ে করে সংসার পেতে ছিলেন তিনি। তাঁর স্বামী জিন্দাল গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে প্রধানত ইস্পাত ও বিদ্যুতের কাজ করা হয়। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান তাঁর স্বামী। তারপরে ব্যবসার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন সাবিত্রী দেবী। তিনি হরিয়ানার সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। এবং আইনসভার সদস্য ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে ১৯তম ধনীর তালিকায় সাবিত্রী দেবীর নাম প্রকাশিত হয়। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ সাড়ে ৬০০ কোটি ডলার।

মাইকেল বুলুমবাগ
মাইকেল বুলুমবাগ হলেন মার্কিন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং লেখক। তিনি বুলুমবাগ এলপি মালিক এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি বারো বছর ধরে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন। বুলুমবাগ হার্ভার্ড বিজন্যাস স্কুল থেকে এমবিএ পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁর আনুমানিক সম্পত্তির পরিমাণ ৫৬.১ বিলিয়ন ডলার।

সোনিয়া গান্ধী
ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি দলের পরিচালনার দায়িত্ব নেন। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে বিশ্বের একশো জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় নাম উঠে এসেছিল সোনিয়া গান্ধীর। ২০০৪ সালে বিশ্বের তৃতীয় প্রভাবশালী মহিলার স্থান পেয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তাঁর সম্পত্তি পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার।

ভ্লমাদিমির পুতিন
ভ্লমাদিমির পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। আন্তর্জাতিক রাজনীতি অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন। ২০০৮ এবং ২০১২ সালে তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তারপর তিনি আবারও নির্বাচিত হন এবং এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে সামলাচ্ছেন। তাঁর সম্পত্তি পরিমাণ শুনলেই অনেকেই অবাক হয়ে যান। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৭ হাজার কোটি ডলার।

হাসানাল বলকিয়াহ
বিশ্বের ধনী তালিকার মধ্যে হাসানাল বলকিয়াহ নাম রয়েছে। ১৯৬৭ সাল থেকে বুরুনাইয়ের সুলতান। তিনি বুরুনাইয়ের প্রথম এবং দায়িত্বরত প্রধানমন্ত্রীও। তাঁর সম্পত্তি পরিমাণ ২ হাজার কোটি ডলার।

জং কিংহো
ওয়াহাহা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সিইও। তিনি ন্যাশনাল পিপলস কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি তাঁর কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০.৮ বিলিয়ন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প
রাজনীতিতে আসার আগে তিনি একজন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ী ছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে বহু বছর ধরে আসীন হয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে খবরের শিরোনাম কেড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইউনির্ভাসিটি অফ পেনন্সিল ভানিয়ার ওর্য়াটন স্কুল অফ ফাইনান্স থেকে স্নাতক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি মোট আটটি চলচ্চিত্র এবং অনেক টিভি শোতে ক্যামির চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সম্পত্তির পরিমাণ ৩১০ কোটি ডলার।

ড্যারেল ইসা
মার্কিন হাউসের একজন সদস্য এই ড্যারেল ইসা। ক্যালিফোর্নিয়ার ৫০ তম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি খুব ভালো রাজনীতিবিদ। ড্যারেল সিএনা হাইট ইউনির্ভাসিটি থেকে ব্যবসায়ের ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ডাইরেক্টড ইলেকট্রনিক্সের প্রতিষ্ঠা এবং সিইও। তাঁর সম্পত্তি পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন।

সিলভিউ ভাললুস কোনি
ইতালি প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী সিলভিউ ভাললুস কোনি। ২০১১ সাল থেকে তিনি জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি বিতর্কিত রাজনীতিবিদ হিসেবে জনপ্রিয়। তিনি একজন প্রাক্তন সিনেটারকে ঘুষ দেওয়া এবং টেক্স জালিয়াতির জন্য তিনি একবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ৭২০ কোটি টাকা তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ।

মোহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রধানমন্ত্রী তথা শাসক মোহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। তিনি দুবাইয়ের আমির উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। এবং শেখ মোহম্মদ উপাধিতে তিনি পরিচিত। তিনি খুব ভালো রাজনীতিবিদ। রাজকুমারী হায়া বিনতে আল হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তাঁর জন্য তাঁকে ৭৩০ মিলিয়ন দিতে হয়েছে। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫০ কোটি ডলার।

সুলেমান কেরিমভ
তিনি রাশিয়ান ফেডারেশনের সিনেটর। রিয়েল এস্টেটে স্বর্ণ খনি, খনি সংস্থা, ব্যাংকের অংশীদারিত্বে অধিকারী। ধনী রাজনীতিবিদ ব্যক্তিদের মধ্যেও তিনি একজন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫৫০ কোটি ডলার।