এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় এটি না করলে বিপাকে পড়তে পারেন
পরবর্তী সময়ে যখন এটিএ-এ যাবেন, তখন খালি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা গুণে নিলেই হবে না, এবার থেকে এটিএম থেকে বেরনো টাকা সঠিক কিনা তাও দেখে নিতে ভুলবেন না।
পরবর্তী সময়ে যখন এটিএ-এ যাবেন, তখন খালি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা গুণে নিলেই হবে না, এবার থেকে এটিএম থেকে বেরনো টাকা সঠিক কিনা তাও দেখে নিতে ভুলবেন না।
কেরালার এর্নাকুলামের কালাডির বাসিন্দা লিক্সন পাল্লিকাল এর্নাকুলামের একটি এটিএম থেকে বিকৃত এবং আকারে বড় একটি ৫০০ টাকার নোট পেয়েছেন। পরে সেটি তিনি তুলে দেন বন্ধু অঙ্গামালির লিটিল ফ্ল্যাওয়ার হাসপাতালের জনসংযোগ আধিকারিক সাইজু কুডিইরিপ্পিলের হাতে। তিনি একজন সংগ্রাহকও বটে।
নোটটির নির্দিষ্ট অংশের থেকে বড় অংশটি ভিতরের দিকে ভাঁজ করা ছিল। সম্ভবত এটিএম-এ বিতরণের কারণেই নোটটি ওই অবস্থায় ছিল।
এবছরের শুরু দিকে সাইজু বিকৃত আকারের ২ হাজার টাকার একটি নোট পেয়েছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের জেরে বাজারে নোটের চাহিদা পূরণ করতে তাড়াতাড়ি কাজের জন্য ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও পরে তাঁর ভুল ভেঙেছে। তাঁর কাছে এমনও একটি ৫০০ টাকার নোট রয়েছে যেখানে কিনা মহাত্মা গান্ধীর ছবিটাই নেই। তাঁর কাছে বিকৃত আকারের ৫০ টাকার একটি নোটও আছে। যেখানে জাতীয় পতাকা ছাড়াই সংসদের ছবি দেওয়া রয়েছে।
সিরিয়াল নম্বর ছাড়া নোটও তাঁর সংগ্রহে রয়েছে। ছাপার ভুলে দুটি নোট একত্রিত হয়ে প্রজাপতির মতো দেখতে হয়েছে, এমন নোটও রয়েছে তাঁর কাছে।
নিউমিসম্যাটিক সোসাইটির সদস্যপদ থাকায় এবং ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় সাইজু কুডিইরিপ্পিলে নোটগুলি সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তাঁর কাছে এমন বহু নোট রয়েছে, যেখানে নির্দিষ্টভাবে মহাত্মা গান্ধীর ছবি থাকার কথা থাকলেও, তা নেই। দুদশক পরে কেন্দ্র যখন এক টাকার নোট প্রকাস করেছিল তখনও সাইজু কুডিইরিপ্পিলে ছাপার ভুলযুক্ত নোট সংগ্রহ করেছিলেন।