সামনে এল সুপ্রিম কোর্টের রায়, তিন তালাক নিয়ে কে কী বললেন
একঝলকে দেখে নেওয়া যাক তিন তালাক নিয়ে বাদী-বিবাদী পক্ষ, কেন্দ্র সরকার কী চেয়েছিল ও সবশেষে সুপ্রিম কোর্ট কী বলল।
তিন তালাক নিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে এসেছে। আদালত নিজের রায়ে মুসলমান সমাজে হাজার বছর ধরে চলে আসা এই প্রথাকে অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছে। পাশাপাশি আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন আইন এনে তা বলবৎ করারও নির্দেশ দিয়েছে। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক তিন তালাক নিয়ে বাদী-বিবাদী পক্ষ, কেন্দ্র সরকার কী চেয়েছিল ও সবশেষে সুপ্রিম কোর্ট কী বলল।
মামলাকারীরা কী চেয়েছেন
মামলা যারা করেছিলেন তাঁদের বক্তব্য ছিল, তিন তালাকের প্রথা একবিংশ শতাব্দিতে দাঁড়িয়ে চলতে পারে না। বিভিন্ন মুসলমান রাষ্ট্রও যেখানে এই তিন তালাক প্রথা বিসর্জন করেছে, সেখানে ভারতের মতো দেশে তা কিছুতেই চলা উচিত নয়, তা অসাংবিধানিক।
তিন তালাকের স্বপক্ষে
মুসলমান সমাজের তরফে একটি গোষ্ঠী আদালতে দাবি করেন, এই প্রথা হাজার বছর ধরে চলে আসছে। এটির দেখভাল বা এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু মুসলিম বোর্ডের হাতে থাকা উচিত। অন্য কারও বা প্রতিষ্ঠানের এতে নাক গলানোর প্রয়োজন নেই।
সরকার কি চেয়েছে
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার চেয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট কোনও আইনের কথা বলুক যা মুসলমান মেয়েদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কাজে আসবে।
আদালত রায়ে কী বলল
তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক আখ্যা নিয়ে তা আপাতত ছয় মাসের জন্য রদ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্রকে ছয় মাসের মধ্যে আইন আনতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যদি ছয় মাসের মধ্যে আইন বলবৎ না হয় তাহলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বহাল থাকবে।
বিচারপতিদের মত
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে তিনজন তিন তালাকের বিরোধিতা করেন। এরা হলেন বিচারপতি আরএফ নরিম্যান, ইউইউ ললিত ও কুরিয়েন জোসেফ। প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর ও আবদুল নাজির তিন তালাকের পক্ষে কথা বলেছেন। বিচারপতি খেহর বলেন, সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১ ও ২৫ নম্বর ধারার লঙ্ঘন করছে না। এটি সুন্নি সম্প্রদায় এক হাজার বছরের বেশি সময় ধরে মেনে আসছে। যদিও শেষ পর্যন্ত ৩-২ ভোটে ঠিক হয় তিন তালাক অসাংবিধানিক।