৬ ডিসেম্বর ১৯৯২, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন ঠিক কী হয়েছিল
সেই অভিশপ্ত দিনে ঠিক কী হয়েছিল সারাদিন ধরে, দেখা যাক একনজরে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য দিন। এই দিনের পর থেকে ভারতীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট সবসময়ের জন্য বদলে গিয়েছে। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও তার জেরে যে তুফান উঠেছে তার সঙ্গে আজও সকলে লড়াই করে চলেছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়েও বারবার এই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। সেই অভিশপ্ত দিনে ঠিক কী হয়েছিল সারাদিন ধরে, দেখা যাক একনজরে।
সকাল ১০টা ৩০ মিনিট
বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা অযোধ্যার সেই বিতর্কিত এলাকায় পৌঁছন। সেখানে বিতর্কিত এলাকার পাশেই পুজো-পাঠের আয়োজন করে রেখেছিল করসেবকরা।
বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে দেখে আগেই ফৈজাবাদের জেলাশাসক ও এসএসপি রাম জন্মভূমি এলাকা ঘুরে দেখে যান। তখন সেখানে অনেক মানুষ ইতিমধ্যে ভিড় করে ফেলেছে।
দুপুর ১২টা
কমবয়সী করসেবকরা ধীরে ধীরে বিতর্কিত এলাকা ধীরে ফেলতে শুরু করে। বাইরের নিরাপত্তা বলয় ভাঙার চেষ্টা শুরু হয়। কিছু করসেবক মসজিদের মাথায় উঠে পড়ে। বাকীরা নিরাপত্তা বলয় ভাঙতে শুরু করে।
দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট
করসেবকদের তাণ্ডব ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে। বাবরি মসজিদের মাথায় উঠে এবার হাতুড়ি, শাবল নিয়ে করসেবকরা তা ভাঙতে শুরু করে। মাথায় উঠে বিক্ষোভ দেখায়, তাণ্ডব করে।
দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট
ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় একটি গম্বুজ ভেঙে ফেলে করসেবকরা। হাতে পতাকা নিয়ে আগ্রাসী করসেবকরা তখন বিজয়োল্লাসে মেতেছে মসজিদের মাথাতেই।
বিকেল ৩টে ৩০ মিনিট
এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই অযোধ্যায় শুরু হয়ে যায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। হিন্দু-মুসলমান দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে খুনে অভিযানে নেমে পড়ে। সারা উত্তরভারতে তখন পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে গিয়েছে।
বিকেল ৫টা
বাবরি মসজিদের মূল গম্বুজটি ততক্ষণে ভেঙে ফেলা গিয়েছে। সারা রাজ্য তথা দেশে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হলেও করসেবকরা গম্বুজ ভাঙতে ব্যস্ত ছিল। প্রশাসনকে সেসময়ে ঘটনাস্থলে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা
সারা রাজ্যে তখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে গিয়েছে। এর জেরে উত্তরপ্রদেশে জারি করা হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। সেইসময়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ সিং।