বাংলায় বন্যায় মৃত ৫০ ছাড়াল, সারা দেশে কোন রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি কেমন, দেখুন ফটোফিচারে
পশ্চিমবঙ্গে বন্যায় মৃতের সংখ্যা এবার পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেল। এদিকে উত্তর ভারতেও বন্যা পরিস্থিতি বেশ জটিল আকার নিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বন্যায় মৃতের সংখ্যা এবার পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেল। মেদিনীপুর, বীরভিম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বর্ধমান থেকে শুরু করে একাধিক জেলা বন্যায় ভেসে গিয়েছে। এদিকে উত্তর ভারতেও বন্যা পরিস্থিতি বেশ জটিল আকার নিয়েছে। পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতে অসম ও নাগাল্যান্ডেও বন্যা জনজীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। সারা দেশে ঠিক কী পরিস্থিতি তা দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
পশ্চিমবঙ্গ
পশ্চিমবঙ্গের ১৪টি জেলায় বন্যা কবলিত। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। এখনও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও হুগলি জেলার ধনিয়াখালি জেলার অবস্থা আগের মতোই খারাপ হয়ে রয়েছে।
গুজরাত
গুজরাতে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সবমিলিয়ে মোট ২২৫ জন মানুষ মারা গিয়েছেন। এছাড়া ১০,৪৭১টি গবাদি পশু মারা গিয়েছে। বিশেষ করে উত্তর গুজরাতের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
অসম
বহ্মপুত্র নদী ফুঁসে উঠে অসম ভাসিয়ে দিয়েছে বন্যায়। কমপক্ষে ৮৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর পাশাপাশি অসমে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। এই রাজ্যের মোট ১৫টি জেলা বন্যা কবলিত। এছাড়া কাজিরাঙার অভয়ারণ্যও বন্যায় ডুবে গিয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর
কাশ্মীর উপত্যকায় বন্যায় তিনজনের প্রাণ গিয়েছে। এর মধ্যে ৭ বছরের একটি বালক রয়েছে। মেঘফাটা বৃষ্টি ও সঙ্গে ভারী বর্ষণ পুঞ্চ এলাকায় ব্রিজ নষ্ট করে দিয়েছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।
নয়াদিল্লি
মেঘাচ্ছন্ন রাজধানী দিল্লির আকাশ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবমিলিয়ে আশপাশের রাজ্যে বন্যা হলেও রাজধানী দিল্লি আপাতত বিপদসীমার বাইরে রয়েছে।
হিমাচলপ্রদেশ
হিমাচলের নানা জায়গায় ধস নেমেছে। গাছ উপড়ে গিয়েছে বৃষ্টির জন্য। লাহউল স্পিতি জেলার মায়ারে মেঘফাটা বৃষ্টিতে ব্রিজ ভেঙে বাইক তলিয়ে গিয়েছে জলে। ভারী বৃষ্টি চলেছে বেশ কয়েকদিন ধরে। একজন মারা গিয়েছেন, ২ জন আহত। মোট ১০০টি পাহাড়ি রাস্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যার মধ্যে ৭৮টি সিমলায় অবস্থিত।
উত্তরাখণ্ড
কুমায়ুন ও গারওয়াল জেলায় ভারী বর্ষণের সতর্কতা রয়েছে। এছাড়া প্রায় সব জায়গাতেই ধসের ফলে রাস্তা আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি তরফে সকলকে সাবধানও করে দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশা
বাংলার পাশের রাজ্য ওড়িশায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে। আগামি দুদিন আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজস্থান
জয়পুর, কোটা, ভরতপুর, উদয়পুরে বৃষ্টি হয়েছে। তবে সেভাবে বন্যা পরিস্থিতির খবর নেই। শ্রীগঙ্গানগরে সবচেয়ে বেশি ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। এটাই আপাতত রাজস্থানের সবচেয়ে উষ্ণ জায়গা।
নাগাল্যান্ড
নাগাল্যান্ডেও বন্যার প্রকোপ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী টিআর জেলিয়াং ডিমাপুরের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন। বেশ কয়েকজনের মারা যাওয়ার খবর রয়েছে। সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।