পশ্চিমবঙ্গ উপনির্বাচন: কেন হেরে গিয়েও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিজেপির?
নয়াদিল্লি, ১৭ ফেব্রুয়ারি : ভোটগ্রহণের আগে থেকে বনগাঁ, কৃষ্ণগঞ্জের বিধানসভা উপনির্বাচনকে অ্যাসিড টেস্ট হিসাবে ব্যাখ্যা করেছিল বিজেপি। সেই অ্যাসিড টেস্টে অবশ্য পাশ করে গিয়েছে তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। দুটি উপনির্বাচনেই জয় হয়েছে তৃণমূলের।
আরও
পড়ুন
:
উপনির্বাচন:
বনগাঁ,
কৃষ্ণগঞ্জে
বিপুল
ব্যবধানে
জয়ী
তৃণমূল
আরও
পড়ুন
:
তৃণমূল-বিজেপি
গোপন
বোঝাপড়া
রয়েছে,
দাবি
সিপিএমের
যদিও তৃণমূলের এই জয়ে খুব একটা অস্বস্তিতে পড়েনি বিজেপি। কারণ বিজেপি জিততে না পারলেও শক্তি বৃদ্ধি করে তৃণমূলের প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে উঠেছে বিজেপি। ভোট ভাগ বেড়েছে অনেকটাই। আর সেই কারণেই বিজেপির বিশ্বাস ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই আরও কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে তৃণমূলকে পরাজিত করতে পারবে তারা।
একইসঙ্গে বিজেপির পক্ষে আরও একটি বিষয় গিয়েছে, তা হল, প্রাক্তন শাসক দল সিপিএম-এর অপ্রাসঙ্গিকতা। উপনির্বাচনে সিপিএম নেতাদের নিষ্প্রভ মনোভাব দেখিয়ে দিয়েছে, সিপিএম-এর ত্বেজ হারিয়েছে, শুধু মুখে বিরোধিতা করা ছাড়া, ন্যুনতম লড়াই দেওয়ার কসরতটুকু করছে না সিপিএম।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি আশাবাদী
তবে, উপনির্বাচনে মানুষের রায়ে বিজেপির পক্ষে বেশকিছু ইতিবাচক ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছে দল। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে বিজেপি ক্রমশ উপরের দিকে উঠে আসতে শুরু করে।
বিধানসভা উপনির্বাচনে কৃষ্ণগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে এবং বনগাঁতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। কিন্তু এবিষয়ে আশাবাদী বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি রাহুল সিনহা। বিজেপির পক্ষে 'ভোটিং ট্রেন্ড' বাড়ছে, এটা অত্যন্ত ইতিবাচক বিষয়, মনে করছেন রাহুল বাবু।
তবে, ২০১৬ বিধানসভা ভোটের আগে আপাতত পুরভোটের দিকেই মনসংযোগ করছে রাজ্য বিজেপি।
বিজেপির মতে এক সময়ে যাঁরা সিপিএম পন্থী ছিলেন তারাই এখন বিজেপির দিকে ঝুঁকছে। লড়াইটা তৃণমূল সিপিএম থেকে ঘুরে এখন তৃণমূল বিজেপিতে এসে ঠেকেছে। অনেক জায়গায় তো সিপিএম অস্তিত্বটুকুও হারিয়েছে, দাবি বিজেপির।
যদিও বিজেপি এটা ভালই বুঝতে পেরেছে যে শুরু সিপিএম ভোটব্যাঙ্ক পকেটস্থ করাটা যথেষ্ট নয়। যদি পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে তৃণমূলের ভোটব্য়াঙ্ককে নিজেদের দিকে ঘোরাতে হবে।
উপনির্বাচনের রায় ভবিষ্যেতের ইঙ্গিত দিচ্ছে
গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা করতে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গিয়েছে মুকুল রায়কে। তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, উপনির্বাচনের ফল ভবিষ্যতের বার্তা দিচ্ছে।
তৃণমূলের ভোট ভাগের হার অটুট থাকলেও ২০১১ সাল থেকে বিজেপির ভোট ভাগের হারের গ্রাফ ব্যাখ্যা করেছেন মুকুলবাবু। তাঁর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ২০১১ সালে রাজ্যে বিজেপির ভোট ভাগের হার ছিল ৩.৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তা বেড়ে হয়েছে ১৭ শতাংশ। আর এখন সেই ভোট ভাগের হার হয়েছে ২৯ শতাংশ।
বিজেপির পক্ষে আর একটি ইতিবাচক খবর, হল বিজেপির প্রার্থী নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। রাজ্য রাজনীতিতে ভিত শক্ত করার ক্ষেত্রে এই খবর অবশ্যই বিজেপি শিবিরে স্বস্তি এনেছে।