বিশ্বের বুকে তিন দশকের মধ্যেই ধেয়ে আসছে বড় বিপদ, ভয়ানক তথ্য প্রকাশ গবেষণায়
বিশ্বের বুকে তিন দশকের মধ্যেই ধেয়ে আসছে বড় বিপদ, ভয়ানক তথ্য প্রকাশ গবেষণায়
বিশ্বের বুকে ধেয়ে আসছে ভয়ানক বিপদ। সামনের তিন দশকরে মধ্যেই বিশ্ববাসীকে মুখোমুখি হতে হবে এক কঠিন চ্যালেঞ্জের। যে হারে পৃথিবীর বুকে জলের ব্যবহার হচ্ছে, তাতে বড়সড় মুল্য চোকাতে হবে বিশ্বকে। বিশ্বে জলের ঘাটতি শুরু হয়েছে, তা সাংঘাতিক রূপে বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনের করণেই সেই ভয়ানক দিন এগিয়ে আসছে।
৫০০ কোটি মানুষ জলসঙ্কটে পড়বেন
গবেষকরা মনে করছে, আগামী তিন দশক বিশ্বের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জের। প্রতি বছর জলের ঘাটতে ১ শতাংশ করে বাড়বে। আর এভাবে বাড়তে থাকলে প্রাকৃতিক জলে টান পড়ে যাবে। এর ফলে আগামী দিনে বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ জলসঙ্কটে পড়ে যাবেন। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে যাবে মানুষের পক্ষে।
২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বিপদ
বিশ্বজুড়ে বহু ক্ষেত্রেই মানুষ এখন থেকেই সুপেয় জলের সংকটে পড়েছেন। এই সঙ্কট উত্তরোত্তর বাড়বে। যত দিন যাবে, ততই পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে এই অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ জলসংকটে ভুগতে পারে।
জলসংকট বাড়বে ১ শতাংশ করে
সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘে এ বছরের জল উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ভয়ানক তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিবেদলে ফলাও করে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দশকে প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে জলসংকট বাড়বে ১ শতাংশ করে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে একটা ঘাটতি তৈরি হয়েই চলেছে। সেই কারণেই ভূগর্ভস্থ জলের চাহিদা বেড়ে যাবে অনেকাংশে।
সাড়ে তিনশো কোটি মানুষ এক মাস করে জলসঙ্কটে
বর্তমানে বিশ্বের পানীয়যোগ্য ৯৯ শতাংশ জল আসে ভূগর্ভস্থ জলভাণ্ডার থেকে। কিন্তু এর গুরুত্ব কেউ বুঝছে না। প্রতিনিয়ন অপব্যবহার করে বিপদে ফেলে দিচ্ছে গোটা দুনিয়াকে। তার ফলে জলভাণ্ডার ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। গবেষকরা বলছেন, ২০১৮ সালে বিশ্বের প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি মানুষ অন্তত এক মাস করে জলসঙ্কটে ভুগেছেন।
ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহারে সঞ্চয়ী হতে হবে
সেইমতো গবেষকরা মনে করছেন, ২০৫০ সালে বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ একইরকম জলসংকেট ভুগবেন। বিশ্বের ক্রমাগত জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে। তার ফলে জল সরবরাহ ব্যবস্থার উপর চাপ বেড়েছে। এখন থেকেই ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহারে সঞ্চয়ী হতে হবে। ভূগর্ভস্থ জলের যে গুরুত্ব রয়েছে, তা বুঝতে হবে।
পানীয় যোগ্য জল মাত্র তার ১ শতাংশ
জাতিসঙ্ঘে পেশ করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে জলের পরিমাণ অগাধ। কিন্তু পানীয় যোগ্য জল মাত্র তার ১ শতাংশ। তা বেশিরভাগই আসে বরফের তলদেশ থেকে। আর বাকি ৯৯ শতাংশ জল হল লবণাক্ত। পৃথিবীর উপরিভাগের যে জল, তা একেবারেই সীমিত। প্রাকৃতিকভাবে পুনরুৎপাদিত হয় মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ জল।
এক চতুর্থাংশ জল ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে আসে
বিশ্ব উঞ্চায়নের ফলে খরা হচ্ছে। তা প্রভাব ফেলছে পৃথিবীর উপরিভাগের জলে এবং ভূগর্ভস্থ জলেও। এর ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে কৃষিকাজ। মানব সভ্যতার উপর তা প্রভাব ফেলছে। কৃষিকাজের জন্যও এক চতুর্থাংশ জল ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে আসে। আর সুপেয় জলের উৎস তো ওই ভূগর্ভই। তাই ওই জলকে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে বিপদ আরও বাড়বে।
সৌরজগতের বাইরে ৫ হাজারেরও বেশি পৃথিবী রয়েছে! নাসার গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য