Vijay Diwas: ১১টি ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে হঠাৎ হামলা পাকিস্তানের! এরপর...
Vijay Diwas 2022: ১১টি ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে হঠাৎ হামলা পাকিস্তানের! এরপর...
16 December: ক্যালেন্ডারের প্রত্যেকটা দিনই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকদিনেরই একটা ইতিহাস আছে। কিন্তু আজ ১৬ ডিসেম্বর ভারত এবং পাকিস্তানের কাছে খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। ভারতবাসী হিসাবে কোনও দিন এইদিনটি ভোলা যাবে না। এমনকি পাকিস্তানের কাছেও এই দিন লজ্জার। বাংলাদেশ উদয়ের আজ ৫১ বছর সম্পূর্ণ হল। আর তা মাথায় রেখেই ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয়ের ৫১ বছর উদযাপন করল ভারতীয় সেনা।
ভারতের বিজয় দিবস
১৯৭১, ১৬ ডিসেম্বর। ১৩ দিনের দীর্ঘ যুদ্ধের পর বড় জয় ভারতের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় পেল ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান সেনার তৎকালীন সেনা প্রধান আমির আবদুল্লা নিয়াজী ৯৩ হাজার পাকিস্তান সেনা-জওয়ানকে নিয়ে ভারতের কাছে মাথা নত করলেন। একই সঙ্গে আত্মসমপর্ন করলেন বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধাদের কাছেও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই সবথেকে বড় সেনাবাহিনীর আত্মসমপর্ন ছিল। এর সঙ্গেই ভারতের কাছেও এই দিনটা ছিল বড় জয়। তবে যুদ্ধে পাকিস্তানের যেভাবে পরাজয় ঘটেছে তা ইতিহাসে লজ্জার। ফলে সেই জখম আজও নিয়ে ঘুরতে হয় পাকসেনা বাহিনীকে। যদিও অস্বস্তি ঢাকতে আজও মিথ্যা কথা বলা হয় পাকিস্তানের তরফে। গত মাসেই অবসর নেওয়া জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া বলেছিলেন, যুদ্ধে মাত্র ৩২ হাজার সেনার হার হয়েছিল।
ঠিক কি কারণে যুদ্ধ হয়?
পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশে তীব্র বিদ্রোহ শুরু হয়। আর এরপরেই তা যুদ্ধের রূপ নেয়। পাকিস্তান সেনা পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দু এবং বাঙালিদের উপর ব্যাপক অত্যাচার চালাচ্ছিল। এমনকি আনুমানিক ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ বাংলাদেশি নাগরিককে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে মরতে পর্যন্ত হয় বলে দাবি। যদিও বাংলাদেশের প্রশাসনের দাবি ছিল সংখ্যাটা ছিল ৩০ লাখ। এই অবস্থায় ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানকে সবরকম ভাবে সাহায্যের আশ্বাস দেন। এমনকি অত্যাচার থেকে বাঁচতে সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের সাহায্যের আশ্বাস দেন। মনে করা হয় সেই সময় ৮০ লাখ থেকে এক কোটি মানুষ সে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসে।
৩ ডিসেম্বর শুরু হল যুদ্ধ!
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর শুরু হল যুদ্ধ! ১১টি ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে বিমান হামলা শুরু করে দিল পাকিস্তান। আর সেটাই ছিল বড় সুযোগ, যেখানে ভারতের তিন বাহিনী অর্থাৎ স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা একসঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে নামে। এই অবস্থায় ইন্দিরা গান্ধী তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশকে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরু করার নির্দেশ দেন। আর এরপরেই ভারতীয় সেনা পূর্ব পাকিস্তানে ঢুকে পড়ে। এবং বাংলাদেশের তৎকালীন মুক্তি জোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে নামে। আর এরপরেও যুদ্ধের সংজ্ঞা বদলে যায়।
যুদ্ধের পর কি হল?
যুদ্ধের পরিমাণ স্বরূপ তৈরি হল বাংলাদেশ। পূর্ব পাকিস্তান বেরিয়ে গেল পাকিস্তানের শাসন থেকে। তৈরি হল এক নতুন মানচিত্র! আর এই দিনটিকেই বাংলাদেশে বিজয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে। পাকিস্তান থেকে মুক্তির দিন হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে দীর্ঘ ১৩ দিনের যুদ্ধে ভারত এবং পাকিস্তানের অন্তত ৪০০০ সেনার মৃত্যু হয়। ভারত ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধের শেষে ৯৩,০০০ যুদ্ধবন্দী বন্দী করে রাখে। যুদ্ধের আট মাস পর, অগাস্ট ১৯৭২ সালে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে শিমলা সমঝোতা হয়েছিল। আর সেই মতো সমস্ত যুদ্ধ বন্দীদের ছেড়ে দেয় ভারত।
আর ১৭ ডিসেম্বর সামনে রেখে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়জন করা হয়। তৎকালীন যুদ্ধের সময়ে কলকাতার একটা বড় ভূমিকা ছিল। এখানকার সেনাঘাটিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করা হয়। ফলে প্রত্যেক বছর ফোর্ট উইলিয়মে বিজয় দিবস ধূমধাম করে পালন করা হয়।
বিজয় দিবস ১৯৭১! ভারতের পরাক্রমে এক লক্ষ পাক সেনার আত্মসমর্পণে জন্ম হয় বাংলাদেশের