মার্কিন নির্বাচন: এরা দুজনেই অব্যর্থ ভবিষ্যদ্বাণী করেন, কিন্তু এবারে একজনকে হারতে হবে
একদিকে অব্যর্থ নিশানাবাজ মুডি অ্যানালিটিক্স বলছে হিলারি জিতবেন, অন্যদিকে এক অধ্যাপক যিনি একবারই ব্যর্থ হয়েছেন বলছেন ট্রাম্পই জয়ী হবেন; তাহলে?
এ যেন শুধু নির্বাচন নয়, রীতিমতো অহংকারের টক্কর। মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হিলারি ক্লিন্টন না ডোনাল্ড ট্রাম্প কে জিতবেন সে তো রাজনীতির প্রশ্ন। কিন্তু এবার তার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে দুই অব্যর্থ ভবিষ্যৎদ্রষ্টার সুনামও। এঁদের একজন বলছেন ট্রাম্পই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি আর আরেকজন বলছেন হিলারি হারতেই পারেন না। বোঝো ঠ্যালা!
মুডি এনালিটিক্স, যাঁরা গত ন'টি মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিখুঁত ভবিষ্যৎবাণী করেছে, তাঁদের মতে বেশ বড় ব্যবধানেই ট্রাম্পকে হারিয়ে মার্কিন দেশের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন হিলারি। মুডি অ্যানালিটিক্স-এর হিসেবে, হিলারি পাবেন ৩৩২ টি ইলেক্টোরাল ভোট, যা প্রয়োজনীয় ২৭০টির থেকে যথেষ্ট বেশি। মুডি-র হিসেবে ট্রাম্প পাবেন ২০৬টি ইলেক্টোরাল ভোট।
অন্যদিকে রয়েছেন হেলমুট নরপথ যিনি আবার একজন ব্যক্তি। নিউ ইয়র্কের স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর অধ্যাপক। অব্যর্থ ভবিষ্যৎবাণী করতে ইনিও কম ওস্তাদ নন। নরপথের মডেল এক ২০০০ সাল ব্যতিরেকে সেই ১৯১২ সাল থেকে প্রত্যেকটি মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল বলে দিয়েছে যথার্থ ভাবে। তাঁর মতে, বারাক ওবামার উত্তরসূরি হচ্ছেন ট্রাম্পই।
বিভিন্ন সংবাদ সূত্র অনুযায়ী হিলারি এগিয়ে থাকলেও নরপথ নিজের অবস্থানে অনড়: জিতছেন রিপাবলিকান প্রার্থীই, জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর একটি প্রতিবেদন। নরপথের মতে, হিলারি যদি দশ-বিশ অঙ্কে এগিয়ে থাকতেন তাহলে নয় তাঁর মতামত অন্য হত, কিন্তু মাত্র তিন অঙ্কে এগিয়ে থাকাটাকে তিনি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন না, জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
ট্রাম্পের সঙ্গে সঙ্গে যদি নরপথও এবারের ম্যাচ বের করে দিতে পারেন তো এক ধাক্কায় এই অধ্যাপকের নামও যে দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।
অন্যদিকে, মুডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে তাঁদের এই ভবিষ্যৎবাণীর পিছনে কাজ করে নানা রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ফ্যাক্টর। যার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি বা গৃহের দাম বা ব্যক্তিগত আয়ের মতো বিষয়ও। তাঁরা জানান যে সাধারণ মানুষ সাধারণত তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত নেন এবং সেই অবস্থা ভালো থাকলে সরকারে যে আছে, তাকেই ভোট দেন। তবে তাঁরা এও জানাতে ভোলেননি যে ২০১৬-র নির্বাচনকে সাধারণ যুক্তিবুদ্ধি দিয়ে মাপা বেশ কঠিন ব্যাপার, জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট। অর্থাৎ, ট্র্যাক রেকর্ড যাই হোক না কেন, হলফ করে কেউই কিছু বলতে রাজি নন এই নির্বাচন নিয়ে।