রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের আমলে বিশেষ বদলাবে না মার্কিন নীতি, মেনে নিচ্ছে পাকিস্তান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু'টি প্রধান দলের কাছেই ভারত এখন নয়নের মণি আর ভূ-রাজনৈতিক এবং কৌশলগত কারণে পাক-মার্কিন জোটের দিন যে অতীত, তা পরিষ্কার জানিয়েছে 'ডন'
ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্ব কালে পাকিস্তানের কী প্রতিক্রিয়া হবে? প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হলেও ৯/১১-র পর তাতে উল্লেখযোগ্যরকমের বদল ঘটেছে। চিনকে ঠেকাতে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে মার্কিনিরা, উপেক্ষিত হয়েছে পাকিস্তান। অন্তত বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার সময়কালে তো তাই দেখা গিয়েছে।
মঙ্গলবার (নভেম্বর ৮) পাকিস্তানের প্রথম সারির দৈনিক 'ডন'-এ এই বিষয়ে একটি সম্পাদকীয়তে বলা হয় যে বর্তমান দুনিয়ার প্রেক্ষাপটে ভারত যে আমেরিকার বেশি কাছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
"আমেরিকার দু'টি প্রধান দলের কাছেই আজ ভারতের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ এবং দু'জনেই চায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে। ডেমোক্র্যাটদের মতে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি আর রিপাবলিকানদের ধারণা অনুযায়ী, ভারত আমেরিকার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক মিত্র এবং কৌশল বাণিজ্যিক সাথী," জানিয়েছে 'ডন'।
সম্পাদকীয়টির মতে, যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের ভারতবিরোধী জোটের দিন শেষ।
পাকিস্তানের ভিপি শুধু এই জোট নিয়েই নয়। যেহেতু সেদেশটি ভারতকে কৌশলগত এবং সামরিক বিপদ হিসেবেই দেখে আসে, তাই আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের ফলে নয়াদিল্লির সামরিক ক্ষমতায়নের তুঙ্গে উঠলে তা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে যথেষ্ট উত্তপ্ততা সৃষ্টি করবে। বলতে গেলে, এই বিষয়টিই পাকিস্তানকে আরও বেশি ভাবিত করে তুলেছে।
নতুন রাষ্ট্রপতির আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবে তা নয় কিনতু ইসলামাবাদের প্রতি ওয়াশিংটনের নীতি যে আরও কঠোর হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, অন্তত আফগান তালিবানের হাক্কানি নেটওয়ার্ক-এর প্রসঙ্গে তো বটেই।