ভারতে দুই-তৃতীয়াংশ মহিলাই বেগার খাটেন, প্রকাশ পেল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ভয়ঙ্কর রিপোর্ট
প্রকাশ পেল বিশ্ব ইকোনমিক ফোরামের আর একটি রিপোর্ট যা এদেশে মহিলাদের সামগ্রিক অবস্থাকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।
ভারতে ব্যবসা করা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ। একদিন আগেই বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট সামনে আসার পরে অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ৩০ ধাপ উঠে প্রথম একশোটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। তারপরই প্রকাশ পেল বিশ্ব ইকোনমিক ফোরামের আর একটি রিপোর্ট যা এদেশে মহিলাদের সামগ্রিক অবস্থাকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হলেও পরিস্থিতি অনুকূল নয় এখনও। ইঙ্গিত তেমনই।
ভারত এখন ১০৮
ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের রিপোর্ট বলছে, 'গ্লোবাল ডেন্ডার গ্যাপ'-এ ভারত ক্রমতালিকায় আগের চেয়ে নেমে গিয়েছে। ২১ ধাপ নেমে ভারতের স্থান এখন সারা পৃথিবীতে ১০৮। এমনকী এই তালিকায় চিন তো বটেই, প্রতিবেশী বাংলাদেশও ভারতের চেয়ে এগিয়ে।
মহিলারা পিছিয়ে
এর মুখ্য কারণ হল এখনও এদেশে মহিলারা মজুরিতে পুরুষের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। পাশাপাশি অর্থনীতিতে মহিলাদের যোগদান বা অবদান এখনও এদেশে সেভাবে তৈরি হয়নি। যার ফলে মহিলারা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন।
বেগার খাটেন মহিলারা
এদেশে অর্থনৈতিক বিকাশে মহিলাদের যোগদান নেই বললেই চলে। সমীক্ষা করা মোট ১৪৪টি দেশের মধ্যে ১৩৬ নম্বরে রয়েছে ভারত। কম মজুরির ক্ষেত্রেও ভারতের স্থান ১৩৬। বলা হয়েছে, এদেশে বেগার খাটা পুরুষের পরিমাণ যেখানে ১২ শতাংশ সেখানে মহিলাদের বেগার খাটার পরিমাণ ৬৬ শতাংশ।
বড় পদে মহিলা নেই
ভারতের আইনসভা, বড় অফিস, ম্যানেজার পদে অথবা বিভিন্ন কারিগরি ক্ষেত্রে মহিলারা নেই বললেই চলে। এর থেকেই মহিলাদের অবস্থানের আন্দাজ করা সম্ভব। বিশ্ব ইকোনমিক ফোরাম মনে করছে, মহিলাদের উপরে তুলে আনতে, অর্থনৈতিক সুবিধা দিতে নিরন্তর প্রয়াস চালানো প্রয়োজন। মহিলাদের যোগদান আগে নিশ্চিত করতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির বদল হবে।
প্রথম দশটি দেশ
সারা বিশ্বে 'জেন্ডার গ্যাপ' আগের চেয়ে কমে এলেও এখনও তা অনেকটাই রয়েছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে 'জেন্ডার ইক্যুয়াল' দেশ হল আইসল্যান্ড। এই দেশটি গত নয়বছর ধরে লিঙ্গের সাম্য রক্ষায় প্রথম হয়ে চলেছে। এছাড়াও নরওয়ে (২), ফিনল্যান্ড (৩), রাওয়ান্ডা (৪), সুইডেন (৫), নিকারাগুয়া (৬), স্লোভেনিয়া (৭), আয়ারল্যান্ড (৮), নিউ জিল্যান্ড (৯) ও ফিলিপিন্স (১০) প্রথম দশে রয়েছে।