দুর্গাপূজা মানেই পেটপূজা: এই কদিন বাঙালির সেরা পাঁচ 'ভোগ' কী কী
বিরিয়ানি
মুঘল সাম্রাজ্যের রান্নাঘরে আবিস্কার হওয়া এই খাবার বাঙালির একান্ত পছন্দের। মুরগীর মাংস দিয়ে হোক বা খাসির মাংস দিয়ে, পুজোর মরশুমে রেস্তোরাঁগুলিতে বিরিয়ানির চাহিদা থাকে আকাশ ছোঁয়া। ছোট থেকে বড় সকলেরই পছন্দ এই একটা জায়গায় এসে মিলেমিশে এক হয়ে যায়। ফরাসি শব্দ বারিয়া থেকে এই বিরিয়ানি নামের উদ্ভব হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলি যেমন কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, মালাবার, দিল্লি, আগ্রা, লাহোর, লক্ষৌ, কাশ্মীর, ঢাকায় এই বিরিয়ানি অত্যন্ত জনিপ্রয়। শুধু মুরগী বা খাসির মাংসই নয়, ভেড়ার মাংস, মাছ, ডিম অথবা শুধু সবজি দিয়েও তৈরি করা হয়। তাই নিরামিষ হোক বা আমিষ, পুজোর মেনুতে বিরিয়ানি সবসময় হিট।
এগরোল
পুজো
হোক
বা
না
হোক
এগরোল
সবসময়ই
কলকাতাবাসীর
হিটিলস্টে।
বড়
রেস্তোরাঁ
নয়,
বরং
রাস্তার
ছোট
স্টলগুলির
পরোটা
রোলই
সবচেয়ে
পছন্দ
স্কুল-কেলেজর
ছাত্রছাত্রীদের।
সস্তায়
এমন
সুস্বাদু
খাবারের
উদাহরণ
আর
কোথায়।
এমনিতে
হয়তো
শরীরস্বাস্থ্যের
কথা
মাথায়
রেখে
বাড়ির
বড়রা
রোলের
পক্ষে
খুব
বেশি
ভোট
দেবেন
না।
কিন্তু
পুজোর
চারটে
দিনে
কোনও
বাধা
নেই।
আর
বাধা
দিলেই
বা
শুনছে
কে।
ফুচকা
একা
খেয়ে
মজা
নেই।
তাই
তো
পুজোর
সময়
বন্ধুদের
সঙ্গে
বেরিয়ে
একসঙ্গে
সবাই
মিলে
ফুচকাওয়ালাকে
ঘিরে
দাড়িয়ে
ফুটকা
খাওয়ার
যে
কী
মহিমা
তা
যারা
খাননি
তারা
কী
বুঝবেন।
রীতিমতো
বন্ধুদের
মধ্যে
প্রতিযোগিতা
পড়ে
যায়।
পুজোর
সময়
তো
এক
একটা
ফুচকার
স্টলে
রীতিমতো
লম্বা
লাইন
পড়ে
যায়।
যার
ফুচকার
টক
জলের
স্বাদ
ত
বেশি
তার
ফুচকার
বিক্রিও
তত
বেশি।
তা
সত্ত্বেও
পুজোর
চারদিনে
এমন
একজন
ফুচকাওয়ালাকে
খুঁজে
পাওয়া
মুশকিল
ষার
দোকানের
১০০টা
ফুচকা
একদিনে
বিক্রি
হয়নি।
চাউমিন
ভারত-চীনের
সম্পর্ক
যেমনই
হোক
না
কেন
চায়নার
এই
অতি
জনিপ্রয়
খাবারটির
সঙ্গে
বাঙালির
আত্মিক
টান
রয়েছে।
নুডলস
একটা
খাবার
যা
রাস্তার
ছোট
স্টলে
হোক
বা
বড়
রেস্তোরাঁর
ফাইন
ডাইনিংয়ে,
একে
টেক্কা
দেওয়া
বাকিদের
পক্ষে
বেশ
কঠিন।
পুজো
হোক
বা
না
হোক
নুডলস
বিকোবে
নিজের
তালেই।
আইসক্রিম
নোনতার
পাশাপাশি
মিষ্টি
তো
বাঙালির
পছন্দের
তালিকায়
প্রথম।
আর
আইসক্রিমকে
না
বলাটা
বেশ
কষ্টসাধ্য।
তাই
তো
পুজো
এলেই
আট
থেকে
আশি
প্রায়
সকেলরই
হাতেই
দেখা
মিলবে
নানা
স্বাদের
,
নানা
রংয়ের
মনমাতানো
আইসক্রিম।
অনেক
রেস্তোরায়
তো
পুজো
উপলক্ষে
নতুন
স্বাদের
আইসিক্রমও
তৈরির
পরীক্ষা
নিরিক্ষা
চলতে
থাকে।
বাকিদের
থেকে
আলাদা
হলেই
বিক্রি
বাড়বে
তড়তড়িয়ে।
এছাড়া মন্ডপের ভোগ তো রয়েছেই। দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে খিচুরি, বেগুনভাজা, পাঁচেমশালি সবজির তরকারি, মিষ্টির যে ভোগ পরিবেশন করা হয় মন্ডপে তা না চাখলে দূর্গাপুজোয় কিছু একটা যেন খামতি থেকে যায়। এমনকী যারা ভিড় ঠেলে মন্ডপে মন্ডপে দেবীদর্শনের পক্ষপাতি নন তাদের মধ্যে অনেকেই এমন রয়েছন যারা রেস্তোরাঁয় খাবার জন্য লম্বা লাইনের পিছনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন কখন তাঁর নম্বর আসবে॥