টাইমলাইন : বিজয় মাল্যর উত্থান ও পতন একনজরে
অবশেষে লন্ডন থেকে গ্রেফতার করা হল ঋণখেলাপির মামলায় অভিযুক্ত বিজয় মাল্যকে। একসময়ের লিকার ব্যারন থেকে ঋণখেলাপির মামলায় অভিযুক্ত পলাতক বিজয় মাল্যর উত্থান ও পতন একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
অবশেষে লন্ডন থেকে গ্রেফতার করা হল ঋণখেলাপির মামলায় অভিযুক্ত বিজয় মাল্যকে। এদিন লন্ডন পুলিশ বিজয় মাল্যকে গ্রেফতার করে। কিংফিশার এয়ারলাইন্সের হয়ে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় বছরখানেকের বেশি সময় ধরে তিনি লন্ডনে আত্মগোপন করেছিলেন। তাঁকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।
লন্ডনে গ্রেফতার বিজয় মাল্য
একসময়ের লিকার ব্যারন থেকে ঋণখেলাপির মামলায় অভিযুক্ত পলাতক বিজয় মাল্যর উত্থান ও পতন একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
২০০৫
কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রথম বিমান আকাশে ওড়ে। বিজয় মাল্যর কোম্পানি বিমান ব্যবসার সঙ্গে নাম জড়ায়।
২০০৭
এয়ার ডেকান কেনেন ইউনাইটেড ব্রেউয়ারিজ গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বিজয় মাল্য।
২০০৮
ফর্মুলা ওয়ান রেসুংয়ের দুনিয়ায় পা রাখে কিংফিশার। ফর্মুলা ওয়ান দলের মালিক হন বিজয় মাল্য। পরে সেই দলের নাম হয় ফোর্স ইন্ডিয়া। এই বছরই আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স দলের মালিকও হন বিজয় মাল্য।
২০০৯
৪১৮.৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় কিংফিশার এয়ারলাইন্সের। এর ফলে সেইসময়ে ১০০ জনের বেশি বিমান চালকে ছেঁটে দেওয়া হয়।
২০১০
সার্ভিস ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট বকেয়া ৭০ কোটি টাকা না দেওয়ায় কিংফিশার এয়ারলাইন্সের অ্যাকাউন্ট সিস করে দেয়।
২০১২
রাস্তায় নেমে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। যার জেরে আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় কিংফিশার এয়ারলাইন্স। পরে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
২০১২
চেক বাউন্সের মামলায় আদালতে বারবার ডাকা সত্ত্বেও হাজিরা না দেওয়ায় জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হয় বিজয় মাল্যর বিরুদ্ধে। এই বছরই কিংফিশার এয়ারলাইন্সের চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০১৪
নেতিবাচক রেটিং থাকা সত্ত্বেও কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে ৯৫০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল আইডিবিআই ব্যাঙ্ক। এই ঘটনা নিয়ে এবার তদন্ত শুরু করে সিবিআই।
২০১৫
এসবিআই সহ দেশের মোট ১৭টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক একযোগে বিজয় মাল্যর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপি সহ একাধিক অভিযোগে মামলা করে। ১৭টি ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম একযোগে কিংফিশার ভিলা দখল করে।
২০১৫
এইবছরই ইউনাইটেড স্পিরিটের নতুন মালিক দিয়েগো বিজয় মাল্যকে চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর পদ থেকে সরে যেতে বলেন।
২০১৬
ইচ্ছাকৃতভাবে ইউবি গোষ্ঠী ঋণ নিয়ে দেনা করেছে বলে পিএনবি জানায়। একইসঙ্গে আদালতে মামলা হলে বারবার সমন পাঠানো হয় বিজয় মাল্যকে, যিনি দেশ ছেড়ে লন্ডনে গিয়ে বসবাস করছিলেন।
২০১৭
বিজয় মাল্যকে ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ করে ভারত। ইংল্যান্ডকে বারবার মাল্যকে ফিরিয়ে দিতে বলে। লন্ডনও এই ব্যাপারে ভারতকে সবুজ সঙ্কেত দেয়। এরপর এদিন ১৮ এপ্রিল লন্ডন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।