এই রাতে খুলে যায় স্বর্গ ও নরকের দ্বার, তন্ত্র সাধনার এক মহান রাত এটি
তন্ত্র সাধনায় কৌশিকী আমাবস্য়ার একটি মাহাত্ম আছে। কারণ ভাদ্রমাসের এইি দিনটিতে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করলে বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায়। আর সেই কারণে ফি বছর এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন তান্ত্রিকদের দল।
তন্ত্র সাধনায় কৌশিকী আমাবস্য়ার একটি মাহাত্ম আছে। কারণ ভাদ্রমাসের এইি দিনটিতে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করলে বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায়। আর সেই কারণে ফি বছর এই রাতটির অপেক্ষায় থাকেন তান্ত্রিকদের দল।
হিন্দু ও বৌদ্ধ দুই ধর্মেই তন্ত্রসাধনার উল্লেখ মেলে। তাই কৌশিকী আমাবস্য়া যেমন হিন্দু তন্ত্র সাধনায় গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বৌদ্ধদের কাছেও এর মহিমা ভালোরকমের। ভারতীয় তন্ত্র ও শাস্ত্রে যে উল্লেখ মেলে তাতে সাধক কুণ্ডলিনী চক্রকে জয় করতে পারলে বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হন।
[আরও পড়ুন:কৌশিকী অমাবস্যার নামকরণ ঘিরে কোন পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে! জেনে নিন ]
তন্ত্রমতে এই দিনের রাত্রিকে তারারাত্রিও বলা হয়। অসুর শুম্ভু ও নিশুম্ভকে দেবী কৌশিকীর বধ করা নিয়ে যে পুরাণ কথা প্রচলিত আছে তার ভিত্তিতেই এই বিশেষ দিনটিকে কৌশিকী আমাবস্যা হয়। বৌদ্ধমতেও তন্ত্র সাধনার প্রচলন রয়েছে। বহু বৌদ্ধ মঠে এর দর্শনও মেলে। তন্ত্রসাধনায় তাই হিন্দুদের যেমন রয়েছে দেবী তারা, তেমনি বৌদ্ধদের ক্ষেত্রে রয়েছে তারা বা উগ্রতারা বা এক জটা দেবী। বৌদ্ধতন্ত্রে দেবীকে 'কালদূতি' নামেও ডাকা হয়।
[আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা আপনার ভাগ্যে কী প্রভাব ফেলতে চলেছে! জানুন রাশিফলে]
তারা রাত্রি নামে খ্যাত এই আমাবস্যার দিনটিতে অনেক কঠিন ও গুহ্য সাধনাও সফল হয়। সাধকের সিদ্ধিলাভেরও সম্ভাবনা থাকে। সাধক এই রাতেই তাঁর কুণ্ডলিনী চক্রকে জয় করতে পারলে সাধনায় ঐশ্বরিক ক্ষমতা আসে বলে হিন্দু ও বৌদ্ধ তন্ত্র শাস্ত্রে দাবি করা হয়। আমাবস্যার এই বিশেষ সাধনার কালে এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরকের দরজা খুলে যায়। ফলে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক শক্তি এই সময় বেরিয়ে আসে। এই শক্তিকে সাধক তাঁর সাধনাবলে অধিকার করার চেষ্টায় থাকে। যে ধনাত্মক শক্তিকে ধারণ করার চেষ্টা করে সে অবশ্যই ভালো-র পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু, ঋণাত্মক শক্তির অধিকারী অনিষ্ট এবং ক্ষমতা দখলের পক্ষেই কাজ করেন বলে তন্ত্র সাধনায় বলা হয়েছে। আসলে এই সময়টাতে দেবী কৌশিকী শুম্ভু ও নিশুম্ভুকে বধ করেছিলেন। ফলে শুভ শক্তির হাতে পরাস্ত হয়েছিল অশুভ শক্তি। শুভ শক্তির ঠাঁই স্বর্গে। আর অশুভ শক্তি স্থান পায় নরকে। তাই তন্ত্র সাধকদের বিশ্বাস আমাবস্যার কালে স্বর্গ ও নরকের দরজা খুলে যায়।