আবহাওয়ার খবর পড়েই আয় ৩ মিলিয়ন ডলার! নিতম্বে প্লাস্টিক সার্জারিতে বিতর্ক, পড়ুন ইয়ানেটের কাহিনি
সোশ্য়াল মিডিয়ার সেনসেশন মডেল ধরা হয় তাঁকে। পড়েন আবহাওয়ার খবর। কিন্তু, তাঁর স্টাইল আর ফ্যাশনে মাত সকলে।
সোশ্য়াল মিডিয়ার সেনসেশন মডেল ধরা হয় তাঁকে। পড়েন আবহাওয়ার খবর। কিন্তু, তাঁর স্টাইল আর ফ্যাশনে মাত সকলে। ইয়ানেট গার্সিয়ার চমক এতটাই চোখ ঝলসে দেয় যে তাঁর ছবি ব্রাউজ না করে থাকা যায় না।
হিসাব বলছে বিশ্বে রোজ ইয়ানেট গার্সিয়ার নামে গুগলে সার্চের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি। ইয়ানেট একজন মেক্সিকান। ১৯৯০ সালে জন্ম ইয়ানেট গার্সিয়ার বয়স ২৭ বছর। কিন্তু এরই মধ্যে ইন্টারনেট সেলিব্রিটির তকমা পেয়ে গিয়েছেন তিনি।
ওয়েদার বুলেটিনে আবির্ভাব
২০১৫ সালে মেক্সিকান টেলিভিসা মন্টেরা-তে তিনি ওয়েদার প্রেজেন্টার হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। ২০১৬ সালের মধ্যে এই ওয়েদারের বুলেটিনের দৌলতে তিনি ইন্টারনেট সেনসেশনে পরিণত হন।
সাহসী ইয়ানেটে মাত নেট দুনিয়া
মাত্র কয়েক মাসে প্রায় ৪ লক্ষ লোককে ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার বানিয়েছিলেন ইয়ানেট। আর এসবই হয়েছিল তাঁর সাহসী ছবি পোস্টের জন্য।
ইনস্টাগ্রামে বিপুল ফলোয়ার
এই মুহূর্তে পঁয়ষট্টি লাখেরও বেশি মানুষ ইয়ানেটের ফলোয়ার। ইয়ানেটের সাহসী সব ছবি পোস্টিং দেখে এরা লিখে ফেলেন বিশাল বিশাল সব প্রস্ততি। বলতে গেলে শুধুমাত্র ওয়েদার বুলেটিন পড়েই এই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ইয়ানেট।
আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনের প্রশংসা
ইয়ানেট রূপ এবং গ্ল্য়ামারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ম্যাগাজিন। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে টিএমজেড ও প্লেবয়ের প্রশ্বস্তি। এই দুই ম্যাগাজিন-ই জানায় 'এমন এক ব্যক্তিত্বময়ী মহিলা যে আপনাকে ওয়েদার বুলেটিন দেখার জন্য হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যাবে।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই
ইয়ানেটের সাহসী সব পোস্টে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন ওয়েদার প্রেজেন্টার কী ভাবে নিজেকে এতটা ফ্যাশনেবল করে রাখতে পারেন তা নিয়ে গুগল সার্চে চলে কোয়ারি।
ওয়েদার দিয়ে সকলকে কাত
আবহাওয়া বুলেটিন পড়ে এভাবে বিশ্বখ্যাত হওয়া যায় তা অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না। কিন্তু ইয়ানেটের কাহিনি তাঁদের মনে সেই বিশ্বাসটাকে ভেঙে দিয়েছে।
নিতম্বকাণ্ডে অভিযুক্ত
তবে নেট দুনিয়ায় ইয়ানেটকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি হইচই হয়েছিল ২০১৬ সালে। খবর চাউড় হয় নিজেকে আকর্ষণীয় করতে নিতম্বে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন ইয়ানেট। যদিও সেই খবর উড়িয়ে দেন তিনি।
কিম কারদাশিয়ানের সঙ্গে তুলনা
ইয়ানেটের ঘর আমেরিকায় নয়, মেক্সিকো। কিন্তু ইন্টারনেট সেলিব্রিটি হিসাবে গত কয়েক বছরে কিম কারদাশিয়ানের সিংহাসন টলমল করে দিয়েছেন। সকলে তাঁকে মেক্সিকোর কিম কারদাশিয়ান বলে ডাকে।
কয়েক মিলিয়ন ডলার শুধুমাত্র খবর পড়ে
আবহাওয়ার খবর পড়েই মাত্র কয়েক বছরে অন্তত ৩ মিলিয়ন ডলার কামিয়েছেন ইয়ানেট। এমন ঈর্ষাণীয় নিশ্চিত অন্যদের মধ্যে হিংসা জাগাবে।
বর্তমানে মডেলিং
ইয়ানেট এই মুহূর্তে মডিলিং-কেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। এখন তিনি আর আবহাওয়ার খবর পড়েন না। নিজের শহর মোন্টেরে-তে এখন মডেলিং স্কুলও চালান তিনি। সেখানে উঠতি মডেলদের প্রশিক্ষণ দেন।