কার্শিয়াং-এর ডাও হিল-এর' হাড় হিম করা ঘটনা আতঙ্কে রাখে অনেককে , কী দেখা যায় জানেন
ভূতচতুর্দশীর দিন তেনাদের আনাগোনা হয় বলে শোনা যায় ! বলা হয় এদিন নাকি নিজেদের পছন্দের জায়গায় এসে ঠাঁই নেয় অশরীরীরা। তবে পশ্চিমবঙ্গের এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানে, ভূত চতুর্দশী ছাড়াও তেনাদের আনাগোনা লেগে থাকে! এরকমই এক জায়গা কার্শিযাং এর ডাও হিল।
[আরও পড়ুন:রাজস্থানের এইসব জায়গায় আজও লুকিয়ে বহু রহস্য, গা ছমছমে বহু ঘটনা জানুন ফোটোফিচারে]
সেখানের ঘটনার সত্যি মিথ্যে সম্পর্কে বিচারের আগে একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন ঘটনা প্রচলিত রয়েছে এই এলাকা সম্পর্কে।

কার্শিয়ং...' ল্যান্ড অব অর্কিডস'
পাহাড়ের কোলের এই এলাকায় রয়েছে মন মাতানো প্রকৃতির রূপ। আশপাশের শান্ত সুস্থিরতার মাঝেই গোটা এলাকাকে কুয়াশার মতো করেই আগলে রাখে মায়াবী রহস্যময়তা। বলা হয় গা ছমছমে কিছু ঘটনা এই জায়গাকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। অর্কিডের প্রাচুর্যের জন্য এই জায়গাকে
বলা হয়, ' ল্যান্ড অব অর্কিডস'।

ডাও হিলের মায়াবী প্রকৃতি
কার্শিয়াং এর মায়াবী প্রকৃতির মধ্যেই অবস্থান ডাও হিলের। দার্জিলিং এর কাছের এই হিল স্টেশনে বেশ কিছু ঘটনা শুনলে তাক লাগতে বাধ্য। তার মধ্যে অন্যতম হল ডাও হিল-এ কয়েকটি মুণ্ডবিহীন ধর দেখতে পাওয়ার ঘটনা।

ডাও হিল রোড
ডাও হিল থেকে ফরেস্ট অফিস পর্যন্ত রাস্তাকে ডেথ রোড বা মৃত্য়ু সড়ক বলা হয়। এই রাস্তায় প্রায়ই চলাচল করেন বহু কাঠুরে। জঙ্গলের ধারের এই রাস্তাতেই অনেকে বহু ধরনের অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন।

রক্তহিম করা ঘটনা
ডাও হিলের এই ডেথ রোড দিয়ে চলার সময়ে অনেক কাঠুরেই দেখতে পেয়েছেন এক মুণ্ডবিহীন বাচ্ছা ছেলেকে। যে রাস্তার মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে হঠাৎই অদৃশ্য হয়ে যায়। শুধু এক আধবার নয়, একাধিকবার দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য।

দেখা গিয়েছে এক মহিলাকেও
অনেকেই কার্শিয়াং এর এই জঙ্গলের রাস্তার ধারে দেখেছেন এক ধুসর কেশী বৃদ্ধাকে। কিন্তু পরক্ষণেই সেই বৃদ্ধা কোথায় গিয়েছেন তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

হন্টেড স্কুল
ডাও হিলের জঙ্গলের কাছেই রয়েছে একটি বয়েজ স্কুল। সেখানে প্রায়ই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার জন্য পায়ের শব্দ শোনা যায়। শীতের রাতে চিৎকারও শুনতে পাওয়া গিয়েছে মাঝে সাঝে।