জিএসটি চালুর নেপথ্যে আমলাদের যে 'কোর টিম' কাজ করেছে, তাঁদের চেনেন কি
জিএসটি-র পথ চলার রূপরেখা যাঁদের হাতে তৈরি তাঁরা অতটা পরিচিত নন। তবে সকলেই শীর্ষস্থানীয় আমলা। আসুন একনজরে চিনে নেওয়া যাক জিএসটি-র নেপথ্য কারিগরদের।
জিএসটি বলবৎ করার জন্য যা করা প্রয়োজন ছিল তা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ইউপিএ সরকারের আমলে ৮০ শতাংশ কাজ করে গিয়েছিল। তিনি ছাড়াও রাজ্যের আর এক অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়া মন্ত্রী হিসাবে পি চিদাম্বরম, প্রণব মুখোপাধ্যায়, অরুণ জেটলিরা নিজের মতো করে পদে থেকে জিএসটির সময়ে কাজ করেছেন। তবে জিএসটি-র পথ চলার রূপরেখা যাঁদের হাতে তৈরি তাঁরা অতটা পরিচিত নন। তবে সকলেই শীর্ষস্থানীয় আমলা। আসুন একনজরে চিনে নেওয়া যাক জিএসটি-র নেপথ্য কারিগরদের। [আরও পড়ুন : শুধু জিএসটি নয়, ১ জুলাই থেকে আরও অনেক কিছু বদলেছে]
হাসমুখ আদিয়া
রাজস্ব সচিব হাসমুখ আদিয়া জিএসটি কার্যকর করা পিছনে অন্যতম কারিগর। নিজের হাতের তালুর মতো প্রতিটি ধাপ তিনি জানেন, সামলেছেন। গুজরাতের এই আইএএস অফিসার সব ধরনের সরকারি এজেন্সি, বাণিজ্য ও শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের সমস্যা ও আশঙ্কার কথা শুনেছেন। তা জিএসটিতে কার্যকর করার চেষ্টা করেছেন।
বনজা এস শর্না
গত এপ্রিল মাস থেকে সেন্ট্রাল বোর্ড অব এক্সাইস অ্যান্ড কাস্টমসের চেয়ারপার্সন তিনি। যে সংস্থার তত্ত্বাবধানে সারা দেশে সফলভাবে জিএসটি বলবৎ করার দায়িত্ব বর্তেছে।
অরুণ গোয়েল
জিএসটি কাউন্সিলের অতিরিক্ত সচিব অরুণ গোয়েল একজন দক্ষ আইএএস অফিসার। তাঁকে জিএসটির জন্য বিশেষ করে কমিটিতে আনা হয়। আইন ও নিয়ম নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতাকেই জিএসটি-র ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করেছেন।
উপেন্দ্র গুপ্তা
সেন্ট্রাল বোর্ড অব এক্সাইস অ্যান্ড কাস্টমস ও জিএসটি বোর্ডের কমিশনার উপেন্দ্র গুপ্তার টেকনিক্যাল জ্ঞান দারুণ। এই জিএসটি বলবৎকারী দলের অন্যতম কাণ্ডারী তিনি।
উদয় সিং কুমাওয়াত
রাজস্ব দফতরের যৌথ সচিব উদয় সিং আইন ও নিয়ম নিয়ে খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয় ঠিক রাখতে নিজের দল নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।
নবীন কুমার
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যসচিব নবীন কুমার অর্থনীতি বিষয়ে প্রাজ্ঞ। রাজ্যের আর্থিক বিষয়ে তিনি বহুদিন কাজ করেছেন। কর নিয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসে জিএসটির খসড়া তৈরিতে তিনি বড় ভূমিকা নিয়েছেন।
অলোক শুক্লা ও অমিতাভ কুমার
সিবিইএসের ট্যাক্স রিসার্চ ইউনিটের যৌথ সচিব অলোক শুক্লা ও অমিতাভ কুমার জিএসটি রেট ও অপ্রত্যক্ষ কর ঠিক করা নিয়ে কাজ করেছেন। পণ্য ও পরিষেবা পিছু কেমন রেট হতে পারে এবং তা কোন স্ল্যাবে পড়বে তা ঠিক করতে তাঁরা কাজ করেছেন।
প্রকাশ কুমার
জিএসটি নেটওয়ার্কের সিইও প্রকাশ কুমার আইআইটি থেকে পাশ করেছেন। তিনি আইএএস-ও বটে। মাইক্রোসফটের প্রাক্তনী প্রকাশ কুমার প্রযুক্তিটা ভালো বোঝেন। জিএসটিতে তাই তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে।
শক্তিকান্ত দাস
মাত্র কিছুদিন আগেই অর্থমন্ত্রকের সচিবের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস। নরেন্দ্র মোদী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই শক্তিকান্তকে জিএসটির কাজে লাগানো হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জেটলি ছাড়াও সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে তিনি দায়িত্ব সামলেছেন।
নাজীব শাহ
জিএসটি যখন খাতায়-কলমে ছিল তখনই তিনি দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমান জিএসটি-র ডিজাইনের বেশিরভাগই তাঁর নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছে। গত মার্চে তিনি অবসর নেন।