নির্ভয়ার 'উড়ান' অপূর্ণ, ভাইয়ের পাইলট হওয়ার স্বপ্নপূরণ এই নেতার হাত ধরে
রাহুল গান্ধীর জন্যই তাঁর ছেলে পাইলট হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনটাই বললেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী।
রাহুল গান্ধীর জন্যই তাঁর ছেলে পাইলট হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনটাই বললেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী।
২০১২ সালে ইউপিএ সরকারের শাসন কালে দিল্লিতে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল নির্ভয়াকে। তাঁর ভাই-ই এবার দেশের আকাশে বিমান উড়াতে তৈরি। এর পুরো কৃতিত্বই রাহুল গান্ধীর বলে জানিয়েছে নির্ভয়ার পরিবার।
রাহুল
গান্ধীর
প্রশংসা
করলেন
নির্ভয়ার
মা
আশাদেবী।
তিনি
বলেন,
মেয়ের
মৃত্যুর
পর
রাহুল
গান্ধীই
তাঁর
ছেলে
উৎসাহ
যুগিয়েছিলেন,
উৎসাহিত
করেছিলেন
জীবনে
কোনও
কিছু
ভাল
করতে।
দিদির
জন্য
বিচার
পেতে
লড়াই
করতে
হয়েছে
দীর্ঘদিন।
নির্ভায়াকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহ এবং হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এক নাবালককে কারেকশনাল হোমে পাঠানো হয়েছে।
দিদির মৃত্যুর সময় ভাই ছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। নৃশংস হত্যার ঘটনা ভাইয়ের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু তাকে দমানো যায়নি। তার উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি রাহুল প্রায় নিয়মিতই খোঁজ নিতেন বলে জানিয়েছেন নির্ভায়ার মা আশা দেবী।
২০১৩ সালে সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার পর রায় বেরিলির ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমিতে ভর্তির সুযোগ পায় নির্ভয়ার ভাই। যদিও রায় বেরিলিতে যাওয়ার আগে সে ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছিল বলে জানিয়েছেন নির্ভয়ার মা।
১৮ মাসের পাইলটের ট্রেনিং চলাকালীন নিয়মিত ভাবে দিদির বিচার প্রক্রিয়াও অংশ নিয়েছিল ভাই। আশাদেবী জানান, শুধু রাহুলই নন. প্রিয়ঙ্কাও মাঝে-মধ্যেই ফোনে তাঁদের খোঁজ নিয়েছেন।
নির্ভয়ার অপর ভাই পুনেতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে।