ডঃ রাধাকৃষ্ণণের এই বাণী আজও উৎসাহিত করে সমাজকে,শিক্ষক দিবসে ফিরে দেখা তাঁর বার্তা
গুরু -শিষ্যের সম্পর্ক এক অন্য ভাবধারায় গঠিত। এই সম্পর্কে যতটা স্নেহ রয়েছে, ততাই রয়েছে শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব। শিক্ষক ও পড়ুয়া এক অপরের যতটা বন্ধু, ততাই শিক্ষার প্রসার হয়।
গুরু -শিষ্যের সম্পর্ক এক অন্য ভাবধারায় গঠিত। এই সম্পর্কে যতটা স্নেহ রয়েছে, ততাই রয়েছে শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব। শিক্ষক ও পড়ুয়া এক অপরের যতটা বন্ধু, ততাই শিক্ষার প্রসার হয়।
১৯৬২ সাল থেকে প্রতিবছর এদেশ ৫ সেপ্টেম্বর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিনকে 'শিক্ষক দিবস' হিসাবে পালন করে। দেশের অন্যতম বিখ্য়াত দার্শনিক তথা মহান শিক্ষক রাধাকৃষ্ণাণ , শিক্ষকতা ও শিক্ষার প্রসারে এক নতুন পথ দেখিয়েছেন দেশকে। দেখে নেওয়া যাক তাঁর কিছু স্মরণীয় বাণী।
কাকে প্রকৃত শিক্ষাবিদ হিসাবে মনে করা হবে?
এমন প্রশ্ন বহু ছাত্রছাত্রীর মনেই উদয় হয় যে, কাকে প্রকৃত শিক্ষাবিদ হিসাবে মনে করা হবে! উত্তরে রয়েছে রাধাকৃষ্ণণের একটি বাণী,একজন শিক্ষাবিদ তিনিই, যিনি সকলের সঙ্গে মিলে যেতে পারেন, কিন্তু তাঁর সঙ্গে সকলের মিল খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
পঠনপাঠন নিয়ে তাঁর বক্তব্য
বই কেমন হওয়া উচিত? এই প্রশ্নের উত্তরে পঠপাঠনের ধরণ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সর্বপল্লী শ্রী রাধাকৃষ্ণণ। তিনি বলেন , বই হবে এম যা বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে যোগ স্থাপন করতে পারে।
সুখ কীভাবে পাওয়া যায়?
শিক্ষাজগতের মধ্যে থেকে কীভাবে সুখের রাস্তার দিশা পাওয়া যায়, তার হদিশ অনেকেই খোঁজেন। রাধাকৃষ্ণাণের বক্তব্য , জীবনে সুখ আর খুশি পেতে হলে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের রাস্তায় হাঁটা উচিত।
ধর্ম সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য
যে ধর্ম নিয়ে এত হানাহানি বিভিন্ন দিকে, সেই ধর্ম সম্পর্কে রাধাকৃষ্ণাণ বলেছেন, এটি কেবলমাত্র ব্যবহারিক দিক।
ঈশ্বর সম্পর্কে রাধাকৃষ্ণাণের ধারণা
ঈশ্বরভক্তি সম্পর্কে রাধাকৃষ্ণাণের বক্তব্য হল, সমস্ত আত্মার ঊর্ধে রয়েছে ঈশ্বর। তিনিউ সর্বোচ্চ চেতনা। ঈশ্বরভক্তি তাঁর কাছে এক অসামান্য চেতনার সামিল।
জ্ঞান আহরণ কখন বন্ধ হয়?
যখন ব্যক্তির ধারণা জন্মায় যে সে অনেক কিছু জেনে গিয়েছে, তখনই শেষ হয় জ্ঞান আহরণের ইচ্ছা। এই ইচ্ছা চলে গেলে একজন ব্যক্তি একেবারে স্তব্ধ হয়ে যেতে পারেন বলে অনেক শাস্ত্রজ্ঞই মনে করেন।