অফিস থেকে ফিরে স্ত্রী-র সঙ্গে গল্পে মন মজান, মিলবে নীরোগ জীবনের রাস্তা
মার্কিন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। যা বলছে কাজের চাপে শত ক্লান্তি থাকলেও সময় বার করুন
খুব কর্মব্যস্ততা। তাতে কী। একটু সময় ঠিক বেরিয়ে যাবে। আর সেই সময়ে কী করবেন জানেন। কথা বলুন নিজের পার্টনারের সঙ্গে। আরও ভালো হয় যদি স্ত্রী-র সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়ে কথা বলেন তাহলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকবেন।
মার্কিন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। যা বলছে কাজের চাপে শত ক্লান্তি থাকলেও সময় বার করুন। ঘুমিয়ে ভাবছেন ক্লান্তি কম হবে তা কিন্তু সত্যিই হওয়ার নয়। কারণ স্ত্রী-র সঙ্গে কথা বললে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায়।
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ভিএ গ্রেটার লস অ্যাঞ্জেলেস হেলথকেয়ার সিস্টেমের গবেষক নাটারিয়া জোসেফের মতে সঙ্গীর সাথে বেশি নেতিবাচক কথাবার্তার সঙ্গে পুরু ক্যারোটিড আর্টারির সম্পর্ক দেখা যায়।
ক্যারোটিড অ্যার্টারি হচ্ছে রক্তনালি যা ঘাড় থেকে মস্তিষ্কে রক্ত পৌঁছে দেয়। পুরু ক্যারোটিডের সঙ্গে হৃৎযন্ত্রের নানা সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিতে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে এ ভাববেন না স্ত্রী-র সঙ্গে যা হোক কথাবার্তা বললেই হবে। কথাবার্তা হতে হবে ইতিবাচক , যেসব কথা বলতে বা শুনতে আপনাদের দুজনেরই ভালো লাগবে। আসলে তাহলে হৃদয়ের কাজ অনেক ভালোভাবে হয়।
সমীক্ষা বলছে যাঁরা স্ত্রীর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা খুব কম করেন তাঁদের মধ্যে ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভবনা বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে আবেগ, শারীরিক সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয়গুলোর সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে জড়িত থাকে ইতিবাচক কথাবার্তা । এ বিষয়গুলো স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।