শীত আসছে, ভয় পাবেন না , এই ছোট্ট টিপসগুলি মানলে থাকবে না বিপদ
এই বৃষ্টির পরেই হয়ত হালকা শীতের চাদর পড়ে নেবে কলকাতা। বাচ্চার সঠিক যত্ন নিন ।
এই বৃষ্টির পরেই হয়ত হালকা শীতের চাদর পড়ে নেবে কলকাতা। ঘনঘন এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া একটা বড় বিষয়। বড়রা যদি বা কোনও ভাবে ঠিক করে থাকতে পারেন বাড়ির ছোট সদস্যদের নিয়ে চিন্তা আরও বেশি থাকে। জেনে নিন শীতের আগে কী কী হতে পারে। আর তার থেকে সুরক্ষার পথই বা কী।
[আরও পড়ুন:জেনে রাখুন কোন লক্ষণ দেখে ডায়বেটিস চিনবেন]
শীতের আগের রোগ
সঠিক সময়ে শীত পড়েনি বলে এবার এই নভেম্বরেও বাজার কাঁপাচ্ছে ডেঙ্গি। তার ভয়ে ত্রাহি ত্রাহি সর্বত্র। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিচেছ অজানা জ্বর। চিকিৎসা পরিভাষায় যেটা ‘ব্রুসেলোসিস' ও স্ক্রাব টাইফাস এই দুই নাম আছে। লক্ষণ গুলি ডেঙ্গির সঙ্গে বেশ খানিকটা মেলে। সঠিক সময়ে এই প্রতিটা রোগই ধরতে পারা প্রধান উপশমের উপায়। ফলে জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাই শ্রেয়।
[আরও পড়ুন:যৌন মিলনের সময় কেন ভায়াগ্রাও ফেল করতে পারে, জানেন কি]
শীত পড়লে এরা পালাবে , আসবে নতুন রোগ
চিকিৎসকদের মতে শীতটা ঠিকঠাক পড়লে এই জ্বরগুলির প্রকোপ আসতে আসতে কমবে। কিন্তু শীতের কিছু সুনির্দিষ্ট রোগ এই সময় বাসা বাধবে মানুষের শরীরে। ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি যেমন লেগেই থাকবে তেমনি এগুলো বড় আকার নিলে প্রভাব দেখাবে নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ভাইরাল জ্বর। পাশাপাশি পেটের সমস্যাও দেখা যাবে। যেহেতু শীতকালে শরীরের নাড়াচাড়া কম হয় তাই হজমজনিত সমস্যাও বড় আকার নিতে পারে।
[আরও পড়ুন:দৈনন্দিন জীবনে পিয়াজের ব্যবহার ও তার গুণাগুণ]
শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ
দুগ্ধপোষ্য শিশুদের ক্ষেত্র মাতৃদুগ্ধ সবচেয়ে বড় প্রতিষেধক। বাচ্চা যদি সেটা সঠিকভাবে গ্রহণ করে তাহলে অনেক রোগের থেকে সে নিজের থেকেই বাঁচতে পারে।
[আরও পড়ুন:মশলা হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও আদার খাদ্য গুণও রয়েছে, জেনে নিন]
পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংযত হন
শীত পড়েছে বলেই যত বেশি সংখ্যক পোশাক দিয়ে সন্তানকে ঢেকে দিলেন , এটা করবেন না এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। হালকা শীতে হালকা গরম পোশাক পরান। যদি মাথা ঢাকেন তাহলে পায়ের তলাও অতি অবশ্য ঢাকার ব্যবস্থা করবেন । ঠান্ডা বাড়লে তখন বাড়তি শীত পোশাক দিন। কিন্তু শুরুর ঠান্ডা পড়লেই মাঙ্কি ক্যাপ থেকে মোজা সব কিছুই পড়িয়ে দেবেন না কখনই।
স্নানের বিষয়টি নজরে রাখুন
চেষ্টা করুন লিভিং রুম ও বাথরুমের তাপমাত্রা কাছাকাছি রাখতে। যদি সেটা খুব অসম্ভব হয় তাহলে যখন বাথরুমে ঢুকবেন তখন তাঁকে মাথা মুড়িয়ে ঢোকান, বার করার সময়ও একই বিষয় করুন। পাশাপাশি স্নান নিয়মিত করাবেন। ইষদুষ্ণ জলে চান করালে কোনও ঠান্ডা লাগে না। শীতকালে মানে স্নান না করালেও চলে এটা ভুল ধারণা।
সুষম খাদ্য দিন
বাচ্চাদের শীতকালে সুষম খাদ্য দিন। খাবারে যেন প্রোটিন -মিনারেল সবকিছুই থাকে। পাশাপাশি দিন প্রচুর পরিমাণে তরল। কারণ শীতকালে পরিবেশে আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে তরল সেই অভাব পূরণ করে দিতে পারে।