ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচিত করার জন্য আমেরিকার মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাল সিরিয়া
তাঁকে কেন্দ্র করে ক্রমেই সম্পর্ক খারাপ হচ্ছিল পূর্বের সঙ্গে পশ্চিমের। সিরিয়ায় রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়া, চিন বা ইরানের সঙ্গে মতানৈক্য বড় সমস্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল আন্তর্জাতিক বিশ্বকে। তিনি সিরিয়ার বিতর্কিত রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদ। আশঙ্কা করা হয়েছিল যে হিলারি ক্লিন্টন এবারের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিতলে সিরিয়াকে নিয়ে বড় সংঘাত বাধবে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে হিলারির সিরিয়া নীতি, বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আর এবারে সেই ট্রাম্পই নির্বাচন জেতার পরে সিরিয়ার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাল সিরিয়া। সম্প্রতি আসাদের উপদেষ্টা বুথেইনা শাবান একটি মার্কিন রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন যে ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে তাঁরা সারা পৃথিবীকে একটি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন।

শাবান এও বলেন যে সিরিয়াতে গত ছ'বছর ধরে চলে আসা গৃহযুদ্ধর ব্যাপারে মার্কিনিদের সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতায় যাওয়ার আগে আসাদ সরকার দেখবে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্প কী নীতি নিয়ে চলেন, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গে।
তিনি বলেন ট্রাম্প যদি সিরীয় সরকারের প্রত্যাশাপূরণে সফল হন, তাহলে আসাদ ওয়াশিংটনের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করতে রাজি থাকবেন। ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বারবার বলে এসেছেন যে তিনি আসাদ সরকারকে উৎখাতের পক্ষে নন এবং তাঁর মতে আইএস-এর মতো জঙ্গি সংগঠনকে পরাজিত করার প্রয়োজন আরও বেশি।
আগের ওয়াশিংটন প্রশাসন অবশ্য আসাদকে নিজের দেশের মানুষকে আক্রমণ করার অভিযোগে সরাসরি লড়াইতে বা নামলেও তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করা বিপ্লবীদের সমর্থন দিয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা লাগু করেছিল সিরিয়া সরকারের উপরে। অন্যদিকে, রাশিয়া এবং ইরান আসাদের পক্ষ নেওয়াতে ফের একটা ঠান্ডা যুদ্ধের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছিল পশ্চিম এশিয়াকে কেন্দ্র করে। ট্রাম্পের শাসনকালে সেই তিক্ততা অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে সিরীয় নেতৃত্বের আশা।
ট্রাম্প তাঁর প্রচারে প্রথম থেকেই বলে এসেছেন যে তিনি আগেকার প্রশাসনের মতো অন্য দেশে নাক গলাতে চান না। এমনকি সিরিয়াতে আসাদ-বিরোধী গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়ার নীতিরও তিনি বিরোধিতা করেন। এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পক্ষেও মত দেন।
ট্রাম্পের এই অবস্থান স্বাভাবিকভাবেই সিরিয়া এবং তার মিত্র দেশগুলিকে খুশি করেছে। আর তাই তিনি নির্বাচন জেতার পর সিরিয়ার পক্ষ থেকে মার্কিন নাগরিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করা হয়েছে।