শিশুদের উপরেও ক্রমেই বাড়ছে করোনার থাবা, বলছে গবেষণা
করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ঝুঁকির তালিকায় এতদিন বয়ষ্কদের উপরের তালিকায় রাখা হলেও একাধিক গবেষণা বলছে বর্তমানে শিশুরাও এই ক্ষেত্রে নিরাপদ নয়। এদিকে দিন যত যাচ্ছে ততই বিশ্বজুড়ে কার্যত ভয় এবং আতঙ্ক ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা।
সুপ্ত অবস্থায় করোনার বাহক হতে পারে শিশুরা
এদিকে কিছুদিন আগেও মনে করা হচ্ছিল করোনা ভাইরাসের কবল থেকে শিশুরা খানিকটা হলেও নিরাপদ। কিন্তু আমেরিকা, চিনের পর বর্তমানে কাশ্মীরেও শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। যদিও একাধিক গবেষক বলছেন করোনাভাইরাস শিশুদের ফুসফুসে কম আক্রমণ করে। কিন্তু, এই ভাইরাস দ্রুত সংক্রমিত করতে সক্ষম। তাই সুপ্ত অবস্থায় শিশুরা এই ভাইরাসের বাহকও হতে পারে।
শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উপর জোর দিতে বলছেন গবেষকেরা
এদিকে আরও একাধিক গবেষনায় দেখা যাচ্ছে প্রাথমিক ভাবে উপসর্গ না থাকায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করাও রীতিমতো চ্যালেঞ্জর মুখে পড়ছে। জার্নাল অব পাবলিক হেলথ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্র্যাকটিস-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে শিশু দেহে করোনা প্রতিরোধে তাদের উপর পরিজনদের আরও বিশেষ যত্ন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী দু-হাজারেরও বেশি শিশু করোনায় আক্রান্ত
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ২,৩৮১ জন শিশু এই মারণ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগের একাধিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী শিশুদের উপরে করোনার সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে।
আমেরিকাতে বাড়ছে সংক্রমণ
অন্যদিকে উত্তর আমেরিকার রেজিস্ট্রি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ১৮ই মার্চ থেকে ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৭৪ জন করোনা আক্রান্ত শিশুকে একাধিক হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলিতে (পিআইসিইউ) ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শতকরা ২৯ শতাংশ কোভিড-১৯ আক্রান্ত শিশুর মলের নমুনায় এই ভাইরাস এর অস্তিত্ব মিলেছে। অর্থাৎ শিশুদের মলের মাধ্যমেও রোগজীবাণু ছড়ানোর ঘটনা ঘটতে পারে।