অফিসে কাজে ফাঁকির জন্য দায়ী কোন কোন কারণ? জেনে নিন নিজেরাই
অফিসে কাজে ফাঁকি দেওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট। কাজের জায়গায় ১০ জনের মধ্যে ৫ জন কর্মী দিনের মধ্যে ২০-৩০ শতাংশ কাজের সময় নষ্ট করেন।
সরকারি অফিসে নাকি কোনওদিনই কাজ হয় না। অফিসের বড়বাবু, মেজবাবু থেকে শুরু করে কেরানি পর্যন্ত সকলেই পায়ের উপরে পা তুলে বসে থাকেন আর মাস গেলে মোটা টাকা পকেটে গুজে বাড়ি ফেরেন। অন্যদিকে বেসরকারি অফিস মানেই হাড়ভাঙা খাটুনি। কিছু জায়গায় টাকাপয়সা মন্দ না দিলেও সারা সপ্তাহ কাজ করতে করতে প্রাণ যাওয়ার জোগাড় হয়।[দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য কোনটি? নাম উঠে এল সমীক্ষায়]
এহেন বেসরকারি অফিসেও কর্মীরা একটু এদিন ওদিক দেখে কাজে ফাঁকি দেওয়ার নানা উপায় খুঁজে নেন। আর এক্ষেত্রে কাজে ফাঁকি দেওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট। কাজের জায়গায় ১০ জনের মধ্যে ৫ জন কর্মী দিনের মধ্যে ২০-৩০ শতাংশ কাজের সময় নষ্ট করেন।[দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ ইঞ্জিনিয়ার সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টের যোগ্য নন, দাবি রিপোর্টে]
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অফিসে বা কাজের জায়গায় কাজে ফাঁকি মারার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট। ৪০ শতাংশ সময় স্যোশাল সাইটে মগ্ন থাকায় নষ্ট হয়। ৩৫ শতাংশ কর্মী সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটান। ৩৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেটে মুখ গুজে বসে থাকেন।[সিগারেটে সুখটান দিয়ে সারা ভারতের কি হাল জানলে শিউরে উঠবেন!]
এছাড়া অফিসে কাজের ক্ষেত্রে মিটিংয়ের জন্য ৩০ শতাংশ কাজের সময় নষ্ট হয়। ব্যবসায়িক বিষয় দেখতে গিয়ে ৩০ শতাংশ সময় কেটে যায়। প্রযুক্তিগত নানা ত্রুটির জন্য অফিসের সময়ের ২০ শতাংশ নষ্ট হয়। অনেক কর্মী ফোনে ব্যস্ত থেকে ১০ শতাংশ সময় নষ্ট করেন। এছাড়া অবাধ্য কর্মীদের সামলাতে গিয়েও কাজের সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ১০ শতাংশ নষ্ট হয়।[ভারতের কোন চারটি দামী শহর বিশ্বের নিরিখে সবচেয়ে সস্তা? জেনে নিন]
এখানেই শেষ নয়, সমীক্ষা বলছে, বিভিন্ন অফিসে ইন্টারনেট সার্ফিংয়ের সময়ে কাজের জন্য তা ব্যবহার করেন মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে ৭০ শতাংশই কাজের বাইরে নানা বিষয় দেখতে অফিসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সময় নষ্ট করেন।
অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে অনেকটা সময় নষ্ট করেন প্রচুর মানুষ। এক্ষেত্রে সমীক্ষার ফলাফল বলছে, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে সহকর্মীদের মধ্যে আলোচনা হলেও বাকী ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে অফিসে বসে কাজের বাইরে নানা আলোচনা করে থাকেন।
যে কর্মীরা অফিসে বেশিরভাগ সময় স্যোশাল নেটওয়ার্কিং করে সময় কাটান তাদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ মানুষ ফেসবুক করেন। ৩০ শতাংশ লিঙ্কডইন, ২০ শতাংশ গুগল, ১০ শতাংশ টুইটার ও ৫ শতাংশ পিন্টারেস্ট ব্যবহার করেন।