বিশ্বের এই বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঘুমের অভ্যাস কেমন দেখে নিন একনজরে
একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের কয়েকজন বিক্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ঘুমের অভ্যাস কীরকম?জেনে নেওয়া যাক তাঁরা কতক্ষণ ঘুমানোর সুযোগ পান।
সারাদিনের কাজের ক্লান্তির পর নিজের পছন্দের বিছানাটিতে গিয়ে 'ঘুম' না হলে স্বস্তি হয়না অনেকেরই। শুধু পছন্দের বিছানা কেন , অনেকেই এরকম রয়েছেন যাঁরা ক্লান্ত থাকলে যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। তবে কাজকর্মের ব্যাস্ততার মধ্য়ে সবার ঘুম সমান হয়না। ব্যাস্ততা, টেনশন, কাজের চাপ ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে ঘুম কতটা গভীর হবে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের কয়েকজন বিক্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ঘুমের অভ্যাস কীরকম?জেনে নেওয়া যাক তাঁরা কতক্ষণ ঘুমানোর সুযোগ পেয়ে থাকেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাজের চাপের পরিমাণ সাধারণের পক্ষে আন্দাজ করা কঠিন। তবে দিনভরের ব্যাস্ততার মধ্যেও ৪ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছেন, রাত ১২ টা পর্যন্ত কাজ করার পর, মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘণ্টাই ঘুমানোর সুযোগ পান তিনি। ভোর ৫ টার সময়ে উঠে পড়েন তিনি। তখন কাগজ পড়েন, খাওয়া দাওয়া করেন বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
নরেন্দ্র মোদী
দিনে ২০ ঘণ্টা টানা কাজ করেন নরেন্দ্র মোদী। মোদী নিজেই স্বীকার করে নেন যে, তাঁর ঘুম খুবই কম হয়। তাঁকে বেশি সময় ঘুমানোর জন্য বার বার পরামর্শ দেন তাঁর চিকিৎসক বন্ধুরা। তাঁকে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁর চিকিৎসকরা। সেই জায়গায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা দিনে ঘুমানোর সুযোগ পান দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। মোদী এক সাক্ষাৎকারে মেনে নিয়েছেন যে সাড়ে ৩ ঘণ্টার ঘুম হলেও, তা খুবই গভীর হয়।
বারাক ওবামা
এক সাক্ষাৎকারে একবার প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মেনে নেন যে তিনি রাত ২ টো পর্যন্ত জেগে থাকতেন। তখন বিভিন্ন তথ্যাদিতে একবার চোখ বুলিয়ে নিতেন। প্রায়শই রাত ১টা পর্যন্ত তাঁর দফতরে ইমেল আসত। তাই তাঁকে জেগে থাকতে হত।
থেরেসা মে
এমনিতেই তাঁর ভালো ঘুম হয় বলে মনে করেন ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার থেরেসা মে। তবে বেশি ঘণ্টা ধরে ঘুমানোর সুযোগ তিনি পান না, কাজের প্রবল চাপের জন্য।
মার্গারেট থ্যাচার
প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রাইমমিনিস্টার মার্গারেট থ্যাচারও বেশিক্ষণ ঘুমোতে পারতেন না। তাঁর ঘুম খুবই কম হত। তাঁর প্রেস সেক্রেটারি একবার জানিয়েছিলেন ৪ ঘণ্টা মতো খুব জোর ঘুমতেন থ্যাচার। তবে সপ্তাহান্তে আরেকটু বেশি থ্যাচার ঘুমানোর সুযোগ পেতেন বলে অনুমান ছিল তাঁর প্রেস সেক্রেটারির।
উইনস্টন চার্চিল
বিখ্যাত রাজনৈতি ব্যাক্তিত্ব তথা ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রাইমমিনিস্টার উইনস্টন চার্চিল , প্রচন্ড মদ্যপান করতেন। তাঁর ঘুমের পরিমাণ কম বলে তাঁকে মদের সাহায্য নিতে হত। তবে তাতেও ২ ঘণ্টার বেশি ঘুমতো পারতেন না তিনি।