বসন্ত উৎসবে মাতল শান্তিনিকেতন, দেখুন সেরা ৪৪টি ছবি, পর্ব ১
ফাল্গুন মাস পরা মানেই শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব। পলাশের ফুলের মালা আর আবিরের রঙে মাখিয়ে নেওয়া নিজেকে। কে নেই সেই দলে নারী-পুরুষ সকলেই।
বসন্ত উৎসব মানেই আবিরে মেখে যাওয়া শান্তিনিকেতনের বাতাস। এই একটি দিনের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে ফি বছরই বহু মানুষ শান্তিনিকেতনে ছুটে আসেন। এককালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ যে বসন্ত উৎসবের সূচনা করেছিলেন তা এখন হরে-দরে এতটাই বৃহদাকার নিয়েছে যে তা বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন:আবিরের রঙে মেতেছে মন, দেখুন গলফ গ্রিন-এর দোল উৎসব পালনের সেরা ১২টি ছবি ]
ফাল্গুন মাস পরা মানেই শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব। পলাশের ফুলের মালা আর আবিরের রঙে মাখিয়ে নেওয়া নিজেকে। কে নেই সেই দলে নারী-পুরুষ সকলেই। এই বছর শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের এমনই কিছু ছবি যা আপনাদের মুগ্ধ করবে। যা ক্যামেরাবন্দি করেছেন চিত্রসাংবাদিক শুভময় রক্ষিত।
রঙের রঙিনে রিক্ত হলাম আমি
কপাল ছুঁয়ে যাওয়া টিকলি, এক মুখ রঙ, এমন তৃপ্তির হাসি তো বসন্ত উৎসবের অন্যতম পাওনা।
রঙিন মুখের সেলফি
বসন্ত উৎসবে এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। তাই সেলিফ কেমন করে বাদ যায়।
সখা তোমায় দেই রাঙিয়ে
শান্তিনিকেতনের আকাশ-বাতাস জুড়ে যিনি বিরাজ করেন তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথ। আর রবীন্দ্রনাথ তো বলতেন,রঙের তো কোনও ভেদ নেই, সকলে মিলে মেতে ওঠা যেন মিলনের আনন্দে।
বসন্ত জাগ্রত দ্বারে
বসন্ত মানে তো হলুদ। আর হলুদের এমন ছটা তো প্রেমেরই বার্তা দেয়। তাই বসন্ত উৎসব মানে প্রেমমিলনেরও গান।
চিনি গো চিনি গো তোমারে ও গো বিদেশিনী
বসন্ত উৎসবের প্রেমকে অবজ্ঞা করাটা কঠিন। যে একবার এর প্রেমে পড়েছে সে দেশ হোক বা বিদেশে এই সময় শান্তিনিকেতনে উপস্থিত হওয়াটা তাঁর কাছে যেন বাধ্যতামূলক।
আমরা বাড়ছি মাম্মি
ক্ষুদেদের সেলফি বসন্ত উৎসবে। যেন এক বার্তা আমরাও তৈরি হয়েছি এই মিলন উৎসবের আনন্দকে চেটেপুটে নিতে।
তোমার নাম কি গো সই
মিলন মেলায় আচমকাই আলাপ। জিজ্ঞেস করে নেওয়া 'এই মেয়ে তোর নামটা কি বল', অমনি মেয়ের সলজ্জ উত্তর- 'বলব না'।
আহা কি আনন্দ আজ আকাশে বাতাসে
আবিরে আজ দেই তোকে রাঙিয়ে।
কে গো সখি তুমি
ক্যামেরার লেন্সে বাড়িয়ে থাকা মুখ, সাজ-সজ্জায় মাখামাখি আবিরের রঙ।
কতো সুন্দর তুই যখন মাখিয়ে নিস এই আবির-গুলাল
বসন্ত উৎসবের আরও এক ছবি। দুই সখি যখন ব্যস্ত একে অপরকে রাঙিয়ে তুলতে।
পলাশের ফুলে আবিরের রঙে আমি সেজেছি বলছে বিদেশিনী
অঙ্গভরা তার শান্তিনিকেতনি সাজ। গলায় তাঁর বীরভূমের কোনও আদিবাসীর তৈরির করা মালা। মুখ জুড়ে আবির। খোপায় বাসা বেঁধেছে পলাশের ফুল। আনন্দে হিল্লোলিত বিদেশিনী।
মাখ মাখ তুই রঙ, রঙিন হয়ে ওঠুক এই বসন্ত
সলজ্জ কিশোরীর রাঙা যখন বসন্তের রঙে।
আজ সাজাব যতনে আবিরের রঙে
সুন্দরী তো তখনই সুন্দর যখন তার শরীর জুড়ে রাঙা হয়ে ওঠে রঙ-বেরঙ।
আমার শরীর মন জুড়ে শুধুই আবিরের স্নান
এই আনন্দে মেতে ওঠা যেন স্বর্গীয় পাওনা। আর এই পাওনার জন্যই বারবার মানুষ ফিরে আসে শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবে মেতে উঠতে।
ভোলাব যে তোমায় ভোলাব এই হাসিতে
সুন্দর খুশির হিল্লোল। মুখ জুড়ে যেন অপার্থিব প্রাপ্তি। আহা ফাগুনের এই আকাশে দখিনা বাতাসের মৃদুমন্দে এ বসন্তের পরম পাওয়া।
তোমায় যদি বলি আসতে তুমি কি আসবে?
এসো হে সখি-সখার খেলো আজ রঙের হিল্লোল, মাখিয়ে তোলো এই আকাশ-বাতাস।
বিচিত্র সাজ-সজ্জার আবিষ্কার
এ কেমনে সাজ সাজালে তুমি, আবিরের রঙে এ হলো কোন আবরণ, বসন্তের দখিনা হাওয়ায় এ তো যেন সাজের ঝকমারি, তবু ভালো লাগে এই সাজ কারণ এতে যে রয়েছে আনন্দের মিলন।
আবিরের আড়ালে আজ আমরা ভুত
ছোটবেলার রঙ-তুলির কথা খেয়াল পড়ে আজ, আঁকার খাতা থেকে রঙ-মাখা তুলির ছোটোছুটি মুখ থেকে শরীর জুড়ে। এদেরও কি সেই অবস্থা হল আজ?
তুমি তারে চেয়ে দেখো
সে বসেছে তোমার দখিন দুয়ারে, ফাগুনের বাতাসে ওঠা কেমন মন আনচান করা চাহনি।
পলাশ তুমি আজ বসিছ বটে আমার এই খোপার মাঝে
ফাগুন মাস, তারউপরে পলাশ ফুল। আর পলাশ ফুলেই নিজেকে সাজালেন বসন্ত উৎসবে যোগ গিতে আসা বাঙালিরা।