পৃথিবীর অদূরেই 'সুপার আর্থ' এর সন্ধান বিজ্ঞানীদের, এত কাছে বহির্বিশ্বের প্রাণ কি রয়েছে
মাত্র ১১১ আলোকবর্ষ দূরে একটি গ্রহের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা যেখানে প্রাণের সন্ধান থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে, বহির্বিশ্বে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন যে গবেষণা সামনে এসেছে তাতে নতুন করে আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। মাত্র ১১১ আলোকবর্ষ দূরে একটি গ্রহের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা যেখানে প্রাণের সন্ধান থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন এক্সোপ্ল্যানেট
মহাকাশে বহির্বিশ্বে আর একটি সৌরমন্ডলের একটি এক্সোপ্ল্যানেট লাল বামন সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এটির মাটি পাথুরে ও আবহাওয়ায় পৃথিবীর মতোই গ্যাস রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীর মতো
এক্সোপ্ল্যানেটটির নাম দেওয়া হয়েছে k2- 18b। যেটি k2- 18 নক্ষত্রের চারিদিকে ঘুরছে। নতুন k2- 18b গ্রহটিতে পৃথিবীর সমস্ত গুণ মজুত থাকতে পারে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
সঙ্গী গ্রহ রয়েছে
এই সংক্রান্ত তথ্য অ্যাস্ট্রোনমি ও অ্যাস্ট্রোফিজিক্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই এক্সোপ্ল্যানেটের সঙ্গী গ্রহও রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একই বিজ্ঞানীদল সেটিকে খুঁজে বের করেছেন।
২০১৫ সালে আবিষ্কার
২০১৫ সালে এই এক্সোপ্ল্যানেটটিকে খুঁজে বের করেন বিজ্ঞানীরা। নক্ষত্রের 'হ্যাবিটেবল জোন' অর্থাৎ যে দূরত্বে প্রদক্ষিণ করলে প্রাণের সঞ্চার হতে পারে, এমন দূরত্বে তা লাল নক্ষত্রটিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।
চলবে গবেষণা
চিলের লাল সিইয়া অবজার্ভেটরি থেকে টেলিস্কোপের 'হাই অ্যাকুরেসি রেডিয়াল ভেলোসিটি প্ল্যানেট সার্চার' ব্যবহার করে এই এক্সোপ্ল্যানেটটিকে খুঁজে বের করা হয়েছে। এখন আগে এই গ্রহের ভর মাপতে হবে। এক্ষেত্রেও 'হাই অ্যাকুরেসি রেডিয়াল ভেলোসিটি প্ল্যানেট সার্চার'-ই ব্যবহার করা হবে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা
বিজ্ঞানীদের ধারণা নতুন এক্সোপ্ল্যানেটটি হয় খুব পাথুরে হবে ও আবহাওয়ায় গ্যাস থাকবে অথবা ভূত্বকের উপরে বরফের পুরু আস্তরণ থাকবে। এই দুটি মধ্যে কোনও একটি হতে পারে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীমহল।