দোষী সাব্যস্ত শশীকলা : আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলার টাইমলাইন একনজরে
মঙ্গলবার আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় এআইএডিএমকে সাধারণ সম্পাদক শশীকলা নটরাজনকে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই মামলায় ধারাবাহিক দুই দশকের টাইমলাইন একনজরে।
মঙ্গলবার আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় এআইএডিএমকে সাধারণ সম্পাদক শশীকলা নটরাজনকে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে যেহেতু শশীকলা এর আগে ৬ মাস জেল খেটে ফেলেছেন তাই আর সাড়ে তিন বছর তাকে সাজা খাটতে হবে।[আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত শশীকলা নটরাজন]
এই রায়ের ফলে আগামী ১০ বছর কোনও নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না জয়ললিতা ঘনিষ্ঠ শশীকলা নটরাজন। এছাড়া আরও ১০০ কোটি টাকা হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি বেচে আদায় করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই মামলায় ধারাবাহিক দুই দশকের টাইমলাইন একনজরে।[শশীকলা নটরাজনকে নিয়ে এই ৮টি অজানা তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন ]
যে পথে ফের দোষী সাব্যস্ত শশীকলা
১৪ জুন, ১৯৯৬
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জে জয়ললিতার বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে মামলা করেন।[জয়ললিতার 'জয়া' থেকে 'আম্মা' হয়ে ওঠার কাহিনি]
১৮ জুন, ১৯৯৬
সেইসময়ে তামিলনাড়ুর ক্ষমতায় থাকা ডিএমকে সরকার জয়ললিতার বিরুদ্ধে এফআইআর জমা করে।
৪ জুন, ১৯৯৭
জয়ললিতা, শশীকলা, ইলাবারাসী ও সুধাকরণের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি হয়।
১৪ মে, ২০০১
২০০১ সালে ফের তামিলনাড়ুতে ক্ষমতায় ফেরে এআইএডিএমকে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হন জে জয়ললিতা।[জয়ললিতা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি সিংহভাগ মানুষ জানেন না]
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
মামলার যথাযথ বিচার যাতে হয় সেজন্য ডিএমকে তামিলনাড়ুর বাইরে এই মামলা সরিয়ে নিয়ে যেতে অনুরোধ জানায় সুপ্রিম কোর্টে।
১৮ নভেম্বর, ২০০৩
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জয়া মামলা সরে যায় পাশের রাজ্য কর্ণাটকে।
মার্চ, ২০০৫
বেঙ্গালুরুর আদালতে শুরু হয় জয়ললিতা ও শশীকলার বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলার ট্রায়াল।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
জয়ললিতা, শশীকলাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা আগ্রহরা সেন্ট্রাল জেলে ঠাঁই হয় জয়ললিতার।[জে জয়ললিতার জীবনী একনজরে]
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০০১৪
কর্ণাটক হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন জয়ললিতা। ৭ অক্টোবর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কর্ণাটক হাইকোর্ট।
১৭ অক্টোবর, ২০১৪
সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জামিন পান জয়ললিতা ও অন্যান্যরা।
১১ মে, ২০১৫
জয়ললিতা, শশীকলা সহ বাকীদের মুক্ত করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে কর্ণাটক সরকার।
২৩ মে, ২০১৬
এআইএডিএমকে বিধানসভা ভোটে জিতে তামিলনাড়ুর ক্ষমতায় আসে। মুখ্যমন্ত্রী হন জয়ললিতা।
৫ ডিসেম্বর, ২০১৬
দীর্ঘ ৭৫ দিন হাসপাতালে রোগের সঙ্গে লড়াই করে প্রয়াত হন জে জয়ললিতা।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট দোষী সাব্যস্ত করল জয়ললিতাকে।