গোপনীয়তা রক্ষায় ঐতিহাসিক রায়, আধারের ভবিষ্যৎ কি 'আঁধার'-এ
গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে এদিন এক ঐতিহাসিক রায়ে ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আধারের বৈধতা খতিয়ে দেখবে।
গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে এদিন এক ঐতিহাসিক রায়ে ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নয় সদস্যের বেঞ্চ এই মামলায় রায় ঘোষণা করেছেন। সকলে একসঙ্গে এই ঘটনায় গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন:গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের]
এবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আধারের বৈধতা খতিয়ে দেখবে। সুপ্রিম কোর্ট আধার মামলা থেকে গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মামলাটিকে আলাদা রেখেছিল। তবে এই মামলায় রায়দানের পর আধার সংক্রান্ত মামলার গুরুত্ব ও জনমানসে তা নিয়ে আগ্রহ অনেক বেড়ে গেল।
আধার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এর আগে পর্যবেক্ষণ ছিল গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার পুরোপুরি নাগরিকের মৌলিক হতে পারে না। রাষ্ট্রযন্ত্রের তাতে ক্ষেত্রে বিশেষে হস্তক্ষেপের অধিকার রয়েছে।
মামলাকারীদের তরফে বলা হয়েছিল, নাগরিকেরা সরকারের কাছে বায়োমেট্রিক ও ব্যক্তিগত তথ্য জমা করছে। এবং তা বিভিন্ন সংস্থা ব্যবহার করছে। এর ফলে গোপনীয়তা রক্ষা হচ্ছে কিনা তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বিভিন্ন জায়গা থেকে আধারের তথ্য ফাঁসের অভিযোগ সামনে আসছে।
এরপরই শুনানিতে বসে সুপ্রিম কোর্ট এদিন সর্বশেষ রায়ে জানিয়েছে, গোপনীয়তা রক্ষা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় তা সুনিশ্চিত করা রয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য চুরির যে বিষয়টি আদালতে রাখা হয়েছিল, সেটিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
তবে এদিনের রায়ের সঙ্গে আধারের রায়ের সরাসরি সম্পর্ক নেই। আধার মামলা আলাদাভাবে আদালতে চলছে। তার বৈধতা নিয়ে আদালত আলাদা সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এদিনের রায়ের ফলে আধারের বিরুদ্ধে আবেদনকারীদের অবস্থান অনেকটাই মজবুত হল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ যেহেতু এর সঙ্গে গোপনীয়তা রক্ষা ও ব্যক্তিগত তথ্যের বিষয়টি জড়িত রয়েছে। যদি আদালত এদিনের রায়ে গোপনীয়তা রক্ষাকে মৌলিক অধিকার বলে স্বীকৃতি না দিত তাহলে আধারের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রায় গুরুত্ব হারিয়ে ফেলত।