ভারতে ১ শতাংশ জনতার হাতে রয়েছে মোট সম্পদের ৭৩ শতাংশ, আয় বৈষম্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ
ভারতের আয় বৈষম্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সমীক্ষায়। গতবছরের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট সম্পদের ৭৩ শতাংশ করায়ত্ত করে রেখেছে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ মানুষ।
ভারতের আয় বৈষম্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সমীক্ষায়। গতবছরের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট সম্পদের ৭৩ শতাংশ করায়ত্ত করে রেখেছে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ মানুষ। যা দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো লক্ষণ নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত একবছরে এদেশে বিলিওনেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে ১৭জন। সবমিলিয়ে মোট বিলিওনেয়ারের সংখ্যা ভারতে ১০১ জন।
ওক্সফামের সমীক্ষা
আন্তর্জাতিক সমীক্ষক সংস্থা ওক্সফাম এই সমীক্ষা ফলাফল প্রকাশ করেছে। এরপরে তারা প্রকাশ করবে সারা বিশ্বে সবচেয়ে বিত্তবান ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের তালিকা। সেখানে ভারতেরও বেশ কয়েকজন মানুষ ইতিমধ্যে স্থান পেয়েছেন।
দরিদ্র অংশ
ভারতের ৬৭ কোটি জনসংখ্যার সম্পদ বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ হারে। এরা দেশের সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণি বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বের হাল হকিকত
ভারতের দিক থেকে নজর সারা বিশ্বের দিকে ঘোরালে দেখা যাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ। সারা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮২ শতাংশই হাতে রয়েছে ৮২ শতাংশ মানুষের। তার মধ্যে ৩৩৭ কোটি মানুষ যারা দরিদ্রতম, তাদের সম্পদ ন্যূনতম বাড়েনি গত একবছরে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে আলোচনা
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে অক্সামের সমীক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে আয়ের বাড়তে থাকা বৈষম্য ও ক্রমবর্ধমান লিঙ্গভেদে আয়োর বৈষম্যকে বিশ্বের তাবড় নেতাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
গতবছরের ফলাফল
গতবছরে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ভারতের মোট সম্পদের ৫৮ শতাংশ দেশের এক শতাংশ জনতার হাতে রয়েছে। সেখানে সারা বিশ্বের খতিয়ান ছিল ৫০ শতাংশের মতো।
এবছরের ফলাফল
এই বছরের খতিয়ান বলছে, ভারতের সবচেয়ে বিত্তবান ব্যক্তিদের সম্পদ ২০.৯ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে। যা কেন্দ্র সরকারের ২০১৭-১৮ সালের বাজেটের সমান।
আয় বৈষম্য
ভারতের সাধারণ শ্রমিক যে রোজগার করেন তাদের যদি কোনও বড় ভারতীয় কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভের মাইনে পেতে হয় তাহলে বর্তমান বৃদ্ধি অনুসারে ৯৪১ বছর সময় লাগবে। এতটাই পিছনে রয়েছে সাধারণ শ্রমিক বা কর্মচারীরা।