রাম রহিমের মতো আশ্রমে সাধ্বীদের আটকে রেখে ধর্ষণ, ফের সামনে আর এক সাধক বাবার কীর্তি
ধর্ষণের অভিযোগ স্বঘোষিত গডম্যান বাবা সচ্চিদানন্দের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বসতি জেলায়।
হরিয়ানার গুরমিত রাম রহিমের ডেরা সাচার মতো সাধ্বী ধর্ষণের ঘটনা এবার ঘটল উত্তরপ্রদেশে। দুই সাধ্বী সহ বেশ কয়েকজন মহিলার অভিযোগ তাঁদের আশ্রমে আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগের তির দুই আশ্রম মহন্ত ও সেই আশ্রমের স্বঘোষিত গডম্যান বাবা সচ্চিদানন্দের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বসতি জেলায়।
আটকে রেখে ধর্ষণ
মঙ্গলবার দুই সাধ্বী অভিযোগ করেন, তাঁদের দশদিন ধরে আটকে রেখে মহন্তরা ধর্ষণ করেছে। এতদিন তারা আশ্রমের মধ্যেই বন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এঁরা।
স্বামীজির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
এই দুই সাধ্বী ছাড়াও আরও দুজন রয়েছেন। মোট চারজনই তাদের বিরুদ্ধে আশ্রম চত্বরে মহন্তদের দ্বারা শুধু নয়, গণপতি সচ্চিদানন্দ স্বামীজির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সরব হয়েছেন।
টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ
অভিযোগ, সাধ্বীদের যৌন মিলনের জন্য বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সেই চাপের কাছে মাথা নত না করায় জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এমনকী এফআইআরও দায়ের হয়েছে। তবে মহন্তরা সকলেই পলাতক।
থানায় অভিযোগ দায়ের
সাধ্বীরা আশ্রম থেকে পালিয়ে এসে অভিযোগ দায়ের করেছেন বসতি থানায়। পুলিশ সুপার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।
সাধক বাবার হাতে ধর্ষিত
এই সাধ্বীরা আশ্রমে ২০০৮ সাল থেকে রয়েছেন। একজনের বয়স ১৯ বছর। ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা এই যুবতী সাধ্বী জানিয়েছেন, তিনি জানতেন না কী করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে। প্রতিবাদ করায় তিন সাধক বাবা মিলে ধর্ষণ করেছেন। পরে তাকে আটকেও রাখা হয়।
গণপতি বাবার পরিচয়
জন্মসূত্রে দক্ষিণ ভারতীয় গণপতি সচ্চিদানন্দ বাবা। তবে উত্তরপ্রদেশে সত্যলোক আশ্রম রিলিজিয়স ট্রাস্ট গড়ে সেখানেই নিজের সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন তিনি। দেশ বিদেশের বহু খ্যাতি তিনি পেয়েছেন আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে। তবে এবার সাধ্বী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে অন্যান্য সাধক বাবার মতো তাঁর বিরুদ্ধেও।