Click it and Unblock the Notifications
Just In
-
-
-
-
Don't Miss
-
মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়ছেন, অজানতেই ডেকে আনছেন না তো বিপদ? -
আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে উচ্ছ্বসিত তামান্না ও রশ্মিকা, পছন্দের ২ ক্রিকেটারেও পুরো মিল -
গ্রাহকদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ফিচার নিয়ে হাজির এয়ারটেল, কীভাবে কাজ করবে?
কীভাবে সিধুকে বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধী পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করলেন চান্নিকেই
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পাঞ্জাবে তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কাকে করবে তা নিয়ে চূড়ান্ত জলঘোলা চলছিল। একদিকে ছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। অন্যদিকে পাঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান নভজোৎ সিং সিধু। দু'পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই ঠান্ডা লড়াই চলছিল। এবং শেষ পর্যন্ত কাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে তাই নিয়ে উৎসাহের অন্ত ছিল না। তবে এদিন সব জল্পনার অবসান করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিলেন, চান্নিকেই কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হয়েছে। একইসঙ্গে নভজোৎ সিং সিধুকে কৌশলী বার্তা ছুড়ে দিলেন রাহুল গান্ধী।
এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পাঞ্জাবে জনসভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতারা কয়েকদিনের মধ্যে জন্ম নেন না। এমনকী টেলিভিশন বিতর্ক সভায় অংশগ্রহণ করেও কেউ নেতা হন না। আমি নিজে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি পাঞ্জাবের জনতা, যুব সমাজ এবং ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। আমার নিজের কোনও মতামত থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মানুষ কী চাইছেন। এবং পাঞ্জাবি জনতা আমাকে জানিয়েছে, তারা এমন মানুষ চান যিনি গরিবের দুঃখ বোঝেন।
রাহুল আরও বলেন, আমি ২০০৪ সাল থেকে রাজনীতিতে রয়েছি। তবে গত ৬-৭ বছরের যা শিখেছি তা সবচেয়ে বেশি। কেউ যদি মনে করেন রাজনীতি সহজ কাজ তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন। অনেক বক্তা থাকেন, তবে তার মধ্যে থেকে নেতা খুঁজে নেওয়া সহজ কাজ নয়। এই বক্তব্যের মাধ্যমে নাম না করে সিধুকে রাহুল গান্ধী বার্তা দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে বিধানসভা ভোটের আগে সিধু ১৩ বছর বিজেপি করার পরে কংগ্রেস শিবিরে যোগদান করেছিলেন।
নভজোৎ সিং সিধু বারবার বর্তমান কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে সমালোচনায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এমনকী সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠিও দিয়েছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। এর আগে কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে সিধুর মনোমালিন্য চরমে পৌঁছয়। যার ফলে তিনি পদত্যাগ করে নতুন দল তৈরি করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এই অবস্থায় রাহুল গান্ধী যে বার্তা দিলেন তাতে চান্নিকে মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় রইল না সিধুর কাছে। এখন দেখার আগামিদিনে পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কোনদিকে মোড় নেয়।
