পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) সম্পর্কে এই ৫টি বিষয় কি জানেন?
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বিনিয়োগ বিকল্প। এতে সুদের হারও বেশি তার উপর ভারতীয় আয়কর আইন অনুযায়, ৮০সি-তে করছাড়ও পাওয়া যায়।
পিপিএফ-এ সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই বিনিয়োগে ঝুঁকির মাত্রা কম। এবং অবসরের পরও কোনও ব্যক্তি এতে নিজের অবদান দিয়েও যেতে পারেন।
সরকারি, বেসরকারি বহু ব্যাঙ্ক রয়েছে যারা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টের সুবিধা রেখেছে। যদিও ব্যাঙ্কের সব শাখার অধিকার নেই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার।
অতীতে শুধু পোস্ট অফিসেরই এক্তিয়ার ছিল পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার।
প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত ৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা অনেকেই জানেন না।
১)
পিপিএফ-এ
বিনিয়োগের
সেরা
সময়
মাথায়
রাখবেন
পিপিএফ-এ
সবসময়
মাসের
৫
তারিখের
আগেই
টাকা
জমা
দেওয়ার
চেষ্টা
করবেন।
প্রত্যেক
মাসের
৫
থেকে
৩০
তারিখের
মধ্যে
যে
সময়ে
সবচেয়ে
কম
অর্থ
থাকে
তার
উপরই
সুদের
হিসাব
হয়।
৫
তারিখের
পরে
টাকা
দেওয়া
মানে
আপনার
সুদের
পরিমান
কম
হবে।
২)
থোকা
টাকা
বা
১২
মাসের
কিস্তিতে
টাকা
দিতে
পারেন
কোনও
ব্যক্তি
থোকা
টাকা
পিপিএফ-এ
বিনিয়োগ
করতে
পারেন।
সেক্ষেত্রে
উপযুক্ত
সময়
হল
৫
এপ্রিল।
এর
ফলে
আপনি
গোটা
বছরের
সুদ
পেতে
পারবেন
এবং
প্রতি
মাসে
৫
তারিখের
আগে
টাকা
জমা
দেওয়ার
চিন্তা
আপনাকে
মাথাতেও
রাখতে
হবে
না।
টাকা জমা দেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা হল ১২টি কিস্তি এক বছরে।
৩)অনলাইন
ট্রান্সফার
বহু
ব্যাঙ্ক
পিপিএফ
অ্য়াকাউন্টে
অনলাইন
ট্রান্সফারের
সুবিধা
দেয়।
এই
অনলাইন
ট্রান্সফার
পরিষেবা
নিতে
চাইলে
আপনাকে
ইন্টারনেট
ব্যাঙ্কিংয়ের
পরিষেবা
নিতে
হবে।
যার
ফলে
আপনার
ব্যাঙ্ক
অ্যাকাউন্ট
থেকে
পিপিএফ
অ্যাকাউন্টে
আপনার
টাকা
নেট
ব্যাঙ্কিংয়ের
মাধ্যমে
স্থানান্তিরত
হয়ে
যাবে।
৪)
ছোটদের
পিপিএফ
অ্য়াকাউন্ট
এক
ব্যাক্তি
কোনও
নাবালক/নাবালিকার
নামে
আরও
একটি
অ্যাকউন্ট
খুলতে
পারেন।
যদিও
সর্বোচ্চ
বিনিয়োগ
সীমা
সেক্ষেত্রে
দুটি
অ্যাকাউন্টের
অর্থ
মিলিয়ে
ধরা
হবে।
এর অর্থ হল, যদি এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে করসীমা ১.৫ লক্ষ টাকা প্রতিবছর বিনিয়োগ হয়, তাহলে করের সুবিধা পেতে গেলে ওই ব্যক্তির দুটি অ্য়াকাউন্ট মিলে বিনিয়োগের পরিমাণ যেন ১.৫ লক্ষ টাকা প্রতিবছরের চেয়ে বেশি না হয়। হলে আপনি কর সুবিধা পাবেন না।
যদি কারোও দুটি সন্তান হয়, সেক্ষেত্রে বাবা ও এক সন্তানের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বছরে ১.৫ লক্ষ টাকার বেশি যেন না হয়। অন্যদিকে মা ও আর এক সন্তান মিলে বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে গোটা পরিবারের জন্য এই অঙ্কটা হবে ৩ লক্ষ টাকা প্রতি বছর।
৫) পিপিএফ যার অনুমোদন দেয় না
কোনও ব্যক্তি যৌথ পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে না। অ্যাকাউন্টটি একটি নামেই খুলতে হবে। পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার অধিকার প্রবাসী ভারতীয়দের নেই। যদিও আগে থেকে তার যদি কোনও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তা তারা চালিয়ে যেতে পারেন।
এইচইউএফ পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যোগ্য নয়। আগে যদিও তারা পিপিএফ অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করতে পারত, তবে ২০০৫ সালের ৫ থেকে সেই অধিকার তুলে নেওয়া হয়েছে।