গোয়েন্দাদের উপদেশ নিতে আগ্রহীই নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্প!
অনভিজ্ঞ ট্রাম্পের উচিত কার্যভার নেওয়ার আগে যতটা সম্ভব আন্তর্জাতিক এবং সুরক্ষা বিষয়ে নিজেকে তৈরি করে নেওয়া, বলছেন সমালোচকরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমাসের গোড়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জেতার পরে মাত্র দু'বার গোয়েন্দাদের পরামর্শ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রথম সারির দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। জানা গিয়েছে যে গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে দৈনিক ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে যাবতীয় খবরাখবর দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করা হলেও ট্রাম্প তাতে নাকি বিশেষ কর্ণপাত করেননি।
অন্যদিকে, উপ-রাষ্ট্রপতি মাইক পেন্স এই কাজটি নির্বাচনের পরে দৈনিক মন দিয়ে করছেন বলে জানা গিয়েছে।
ট্রাম্পের আধিকারিকরা অবশ্য এই ব্যাপারটি নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন নন। তাঁদের মতে, প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট এখন নতুন প্রশাসন গুছিয়ে তুলতে ব্যস্ত। সেটা করার পরেও আগামী ২০ জানুয়ারি সরকারিভাবে রাষ্ট্রপতিত্ব গ্রহণ করার আগেও আন্তর্জাতিক এবং নিরাপত্তাজনিত ইস্যু নিয়ে চিন্তাভাবনার জন্য তাঁর অনেক সময় রয়েছে বলে তাঁরা জানান। এ বিষয়ে ট্রাম্পকে একহাত নিয়ে তাঁরা বলেন জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে ট্রাম্প যথেষ্ট তৎপর আর তাই এই নিয়ে শুধু শুধু তাঁর সমালোচনা করার কোনও মানে হয় না।
সমালোচকরা অবশ্য তাতে থামছেন না। তাঁদের মতে, ট্রাম্প যেহেতু বিদেশনীতি বা সুরক্ষা-বিষয়ক ব্যাপারে অভিজ্ঞ নন, তাই তাঁর উচিত এই ব্যাপারে এই সময়ে যতটা সম্ভব নিজেকে তৈরি করা।
আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি-র এক প্রাক্তন ডিরেক্টরের মতে আগের তিন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট নিয়মিত গোয়েন্দাদের পরামর্শ নিতেন যাতে প্রয়োজনে তাঁরা প্রস্তুত থাকতে পারেন। ট্রাম্প এই নির্বাচনে যাঁকে হারান সেই হিলারি ক্লিন্টনও বিদেশনীতিতে যথেষ্ট অভিজ্ঞ ছিলেন। তিনি জিতলে হয়তো মার্কিন সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের এত চিন্তার কারণ থাকত না। ট্রাম্পের মতো রাজনীতিতে সম্পূর্ণ আনকোরা নেতাকে নিয়ে তাঁরা যে যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় রয়েছেনম সেটা বুঝতে অসুবিধে হয় না।
ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরিদের মতো বহির্মুখী নেতৃত্ব দেবেন না বলেই অনেকের ধারণা। কিনতু এতদিন বিশ্বনেতৃত্ব দেওয়া মহাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাতারাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতিতে ফিরে যাবে কীভাবে, তা নিয়েও রয়েছে দ্বন্দ্ব।