মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিহারে কমেছে অপহরণ-খুনের হার, বেড়েছে দুগ্ধজাত পণ্যের ক্রয়, আর কী বলছে সমীক্ষা
বিহারে মদ্যপান নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেয় নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকার। সেরাজ্যে নিষিদ্ধ হয় মদ্যপান। মদ্যপান নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিহারের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু তথ্য উঠে আসে।
বিহারে মদ্যপান নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেয় নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকার। সেরাজ্যে নিষিদ্ধ হয় মদ্যপান। মদ্যপান নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিহারের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু তথ্য উঠে আসে। বিহারাবাসীদের কেনাকাটার প্রবণতা তথা খরচ কোনদিকে বেশি হচ্ছে, তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট। সমীক্ষায় উঠে এসেছে একাধিক তথ্য ।
সমীক্ষার হিসাব
মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিহারে ক্রয় বেড়েছে মধু, দুগ্ধজাত পণ্য,জামাকাপড়ের। সমীক্ষা বলছে, মধুর ওপর খরচ বেড়েছে ৩৮০ শতাংশ, চিজ ক্রয় আগের থেকে বেড়েছে ২০০ শতাংশষ। এই হিসাব মদ্যপান নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই ঘটেছে।
দামী শাড়ি ও দুগ্ধজাত পণ্যের ক্রয় কতটা বেড়েছে?
দুধের ক্রয় বেড়েছে ৪০ শতাংশ ,ফ্লেভার্ড দুধ ২৮.৪ শতাংশ,লস্সি ১৯.৭ শতাংশ, প্রক্রিয়াকরণজাত খাবার ৪৬ শতাংশ ক্রয় বেড়েছে। গামী শাড়ির ক্রয় বেড়েছে ১৭৫১ শতাংশ, পোশাকের ক্রয় বেড়েছে ৯১০শতাংশ।
মহিলাদের সামাজিক অবস্থান
বিহারে মদ্যপান নিষিদ্ধ হওয়ার পর ৫৮ শতাংশ মহিলা মনে করেন তাঁরা বাড়িতে সম্মান বেশি পাচ্ছেন। বাড়ির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও তাঁদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে।
অপরাধের হার
বিহারে মদ্যপান নিষিদ্ধ হওয়ার পর ৬৬.৬ শতাংশ কমেছে অপহরণের মতো ঘটনা। খুন কমেছে ২৮.৩ শতাংস। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সমীক্ষায়।
ডিএমআই-এর সমীক্ষা
ডিএমআইয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী,সমস্তিপুর, নওদা, পুর্নিয়া, কম্পান, কৈমুরের ২৩৬৮টি গহস্তের হিসাব বলছে প্রতি সপ্তাহে খাবার ও পোশাক কেনা কাটায় তারা খরচ করে ১৩৩১ টাকা। যা আগে খরচ হত ১০০৫ টাকা। সরকারী সহযোগিতায় ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট নিজের সমীক্ষায় এই তথ্য তুলে ধরেছে।