এই ১০ মন্ত্রে ব্রিকসের মঞ্চ থেকে বিশ্ব বদলের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
নরেন্দ্র মোদী ব্রিকস সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোট দশটি জিনিস উল্লেখ করেছেন যা দুনিয়ার বদল আনতে পারে।
ব্রিকসের আসরে চিনে উপস্থিত হয়ে সকলের মন জয় করে নিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত পাঁচটি দেশ - ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা একযোগে এবারের সম্মেলন থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ার ডাক দিয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানের মাটিতে হাক্কানি নেটওয়ার্ক, লস্কর-ই-তৈবা, জঈশ জঙ্গিরা নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। সেখানে তাঁদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তবে নরেন্দ্র মোদী ব্রিকস সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোট দশটি জিনিস উল্লেখ করেছেন যা দুনিয়ার বদল আনতে পারে। কী সেই দশটি মন্ত্র তা দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
সুরক্ষিত বিশ্ব
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, সাইবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ও বিপর্যয় মোকাবিলায় পারদর্শী হয়ে উঠলে বিশ্বকে সুরক্ষিত করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সকলকে মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
সবুজ বিশ্ব
পৃথিবীকে শস্য শ্যামলা করার দায় সকলের। আবহাওয়ার বদল ও বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে পৃথিবীকে আরও সবুজ করে তোলা সম্ভব।
সক্ষম বিশ্ব
প্রযুক্তিতে আরও উন্নত অবস্থান নিতে পারলে, তা বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারলে সমাজনীতি, অর্থনীতি সহ সমস্ত ক্ষেত্রে বড় বদল আসবে।
স্বনির্ভর বিশ্ব
বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে আনতে পারলে, তাঁদের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা ও আর্থিক সংগঠনের আওতায় নিয়ে আসতে পারলে বিশ্বে স্বনির্ভর অবস্থায় স্থিতিশীলতা আসবে।
ডিজিটাল বিশ্ব
বিশ্বকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় সড়গড় করে ফেলতে পারলে, ডিজিটাল বিশ্ব তৈরি করে ফেলতে পারলে অর্থনীতি থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে বিশ্ববাসী সুবিধা ভোগ করবে।
স্কিল নির্ভর বিশ্ব
বিশ্বের কোটি কোটি যুবকে সঠিক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে নিয়ে গিয়ে উপযুক্ত করে তুলতে পারলে, তাদের স্কিলকে কাজে লাগাতে পারলে সকলের সুবিধা হবে।
সুস্থ বিশ্ব
বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় গবেষণা, অগ্রগতির খবর, বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে তথ্য ও স্বাস্থ্য পরিষেবা কম খরচে আদানপ্রদান করতে পারলে সকলের সুবিধা হবে।
সমানাধিকারের বিশ্ব
সকলের সমানাধিকারকে সুরক্ষিত করতে হবে। বিশেষ করে লিঙ্গ ভেদে বৈষম্য দূর করতে পারলে তা হবে সবচেয়ে বড় জয়।
সংযুক্ত বিশ্ব
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অন্য দেশের পণ্য, পরিষেবা আদানপ্রদান ও পর্যটনের সুযোগ আরও বেশি করে তৈরি করেত হবে।
ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব
আদর্শ, শিক্ষা, ঐতিহ্যের সর্বাত্মক প্রচার করে সারা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি করতে হবে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমেই এই বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।