'চা বেচেছি, দেশ নয়', গুজরাতে মোদীর ভাষণে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল কংগ্রেস
এদিন কচ্ছে ভাষণে একেরপর এক বাণে কংগ্রেস ও বিরোধীদের তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কী বলেছেন, আসুন দেখে নেওয়া যাক।
গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রথম জনসভা করলেন ভূমিপুত্র তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর প্রথম জনসভাতেই কংগ্রেসের উপরে বলা যায় একেবারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হানলেন তিনি। এমন বক্তৃতায় বিদ্ধ করলেন কংগ্রেসকে যা ফের একবার বুঝিয়ে দিল রাজনীতিক হিসাবে মাস্টারস্ট্রোক দেওয়ায় তাঁর ধারেকাছে কেউ নেই। এদিন কচ্ছে ভাষণে একেরপর এক বাণে কংগ্রেস ও বিরোধীদের তোপ দেগেছেন তিনি। কী বলেছেন, আসুন দেখে নেওয়া যাক।
'চা বেচেছি, দেশ নয়'
আমি গরিব ঘর থেকে উঠে এসে রাজনীতি করছি। এর জন্য কংগ্রেস আমাকে সহ্য করতে পারছে না। একটা দল এত নীচে নামতে পারে? আমি গরিব ঘরের সন্তান হিসাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছি। আমি গর্বের সঙ্গ বলতে পারি, আমি চা বেচেছি, দেশকে বেচে দিইনি। তাই কংগ্রেসকে বলব, গরিবদের ও আমাকে যেন না খোঁচায়।
[আরও পড়ুন:ফের ইপিএফ-এ সুদের হার কমার সম্ভাবনা, সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন অর্থনীতিবিদদের]
কেশুভাইয়ের চর্চা
এর আগে সৌরাষ্ট্রের কেশুভাই প্যাটেল যখন মুখ্যমন্ত্রী হন তখনও কংগ্রেস তাঁকে সরাতে নানা পরিকল্পনা করেছিল। সেই একই চাল চেলেছে আনন্দীবেন প্যাটেলের সঙ্গে। কংগ্রেস বারবার গুজরাতকে বদনাম করতে চেয়েছে। চিমনাভাই প্যাটেলের উপরে কংগ্রেস আঘাত হেনেছে। তাকে সরিয়ে দিয়েছে। এই বিজেপিই চিমনাভাইকে সমর্থন করেছে।
[আরও পড়ুন:গুজরাতে কংগ্রেসের প্রচারে ন্যানো, রাজ্যে শিল্প নিয়ে মোদীকে এমনই কটাক্ষ রাহুলের]
বাবুভাইকে স্মরণ
জনসংঘের সমর্থন নিয়েই প্যাটেল সম্প্রদায়ের বাবুভাই প্যাটেল মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। কংগ্রেস সেসময়ে তা সহ্য করতে পারেনি। সুযোগ বুঝেই বাবুভাই জশভাইয়ের সরকার ফেলে দিয়েছে।
সবার জন্য উন্নয়নই মূলমন্ত্র
গুজরাতে কোনওরকম বিভেদ ছাড়া আমরা উন্নয়ন করেছি। আমাদের মূলমন্ত্র ছিল 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ'। বিজেপি আসার আগে গুজরাতে কী অবস্থা ছিল? আহমেদাবাদ যেতে গেলেও মানুষ জিজ্ঞাসা করত রাস্তায় কোনও অসুবিধা হবে কিনা। আর এখন বিজেপি আসার পরে সবকিছু বদলে গিয়েছে।
আপকে আক্রমণ
দিল্লিতে নতুন একটি দল এসেছে। কোনকে অপমান করে তারা পালিয়ে যায়। আমি ভেবেছিলাম কংগ্রেস শতবর্ষ পুরনো দল হিসাবে সম্ভবত এমনটা করবে না। তবে গত কয়েকমাসে কংগ্রেসও সেই পথেই হেঁটেছে।
ক্ষমা নয় কংগ্রেসকে
একদিকে রয়েছে উন্নয়ন ও বিশ্বাসের প্রশ্ন। আর অন্যদিকে রয়েছে বংশ পরম্পরায় শাসন। গুজরাতবাসী কোনওদিন কংগ্রেসকে ক্ষমা করবে না। কারণ কংগ্রেস কোনওদিনই গুজরাতকে এগিয়ে রাখতে চায়নি। গুজরাত হল আমার আত্মা ও দেশ পরমাত্মা।
কংগ্রেসকে বার্তা
নোট বাতিল নিয়ে কংগ্রেস খুশি হতে পারেনি। ওঁরা আমাকে আক্রমণ করে চলেছে। তবে আমি ওঁদের বলতে চাই, আমি সর্দার প্যাটেলের ভূমি থেকে উঠে এসেছি। গরিবরা তাদের প্রাপ্য পাবে। দেশকে লুঠ হতে দেব না। ক্ষমতা উপভোগ করতে নয়, ১২৫ কোটি দেশবাসীর সেবা করতে আমরা এসেছি।
কংগ্রেসকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক
পাকিস্তান আদালত এক জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছে। তা নিয়ে কংগ্রেস এদেশে উৎসব করছে। আর এই কংগ্রেসই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা আমাদের সেনা জওয়ানের কৃতিত্বকে সন্দেহের চোখে দেখেছে। দেশের সেনা জওয়ানদের বিশ্বাস না করে চিনের রাষ্ট্রদূতের কথা কংগ্রেস বিশ্বাস করছে।
রাহুলকে কটাক্ষ
সবশেষে মোদী বলেছেন, কিছু লোককে (আসলে রাহুল গান্ধী) কোনও কিছু করেই কিছু বিষয় বোঝানো যায় না। তাই তাদের সঙ্গে বিবাদে না জড়ানোই ভালো। বিরোধীরা যাই করুক, গুজরাতে ফের পদ্মই ফুটবে।