চিনকে সাইডলাইনে রেখে ফের কাছাকাছি মোদী-ট্রাম্প, দক্ষিণ এশীয় কূটনীতিতে কোন পট পরিবর্তনের আভাস
দক্ষিণ এশিয়ার দশটি দেশের সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদী ফের একবার মুখোমুখি হলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
দেশের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ফিলিপিন্স সফরে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। ম্যানিলায় আসিয়ান সামিটের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে উড়ে গিয়েছেন তিনি। ৩৬ বছর পরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ফিলিপিন্সে গেলেন। দক্ষিণ এশিয়ার দশটি দেশের সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদী ফের একবার মুখোমুখি হলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের। যার ফলে ফের একবার দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে।
ম্যানিলায় বৈঠক
চিনের প্রিমিয়ার লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে ও দেখা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত নিয়েই আগ্রহ ছিল বেশি। ঘটনা হল জাপান, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও ভারত মিলে চতুর্দেশীয় একটি গোষ্ঠী তৈরি করছে। সেই সূত্রেই ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়েছে মোদীর। জাপ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, অজি প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী মিলে আলোচনায় বসছেন।
মোদী-ট্রাম্প কাছাকাছি
গত জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হোয়াইট হাউসে মোদীকে বিশেষ অভ্যর্থনা জানান সস্ত্রীক ট্রাম্প। তখন থেকেই মোদী-ট্রাম্প বন্ধুত্ব জমে গিয়েছে। এদিনও ম্যানিলায় একে অপরের সঙ্গে দেখা হতেই কাছাকাছি এলেন একে অপরের।
মোদীর বার্তা
আসিয়ান বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে মোদী লিখেছেন, আসিয়ান সদস্যদেশ গুলির সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে ভারত বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলির সঙ্গেও ভারত ভালো সম্পর্ক গড়তে দৃঢ়প্রতীজ্ঞ।
চতুর্দেশীয় গোষ্ঠী
এদিকে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিলে যে গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে তারা বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতে একে অপরকে সাহায্য করবে। সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় ভারতকে বড় শক্তি হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
চিনকে ঠেকাতে ভারতকে চায় আমেরিকা
দক্ষিণ চিন সাগর তথা ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় চিনের সামরিক আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগর চিন একা দখল করতে চায়। সেখানে বারবার বাধা দিচ্ছে আমেরিকা। চিনকে ঠেকাতে সেখানে ভারতের সহায়তা প্রয়োজন আমেরিকার।
ঠোঁট ফুলিয়েছে চিন
এই গোষ্ঠী তৈরি হওয়া নিয়ে বিপদ আশঙ্কা করে প্রথম থেকেই ঠোঁট বেঁকিয়েছে চিন। জানিয়েছেন, চতুর্দেশীয় এই গোষ্ঠী আশা করি অন্য দেশের স্বার্থে নাক গলাবে না, নিজের মতো করে কাজ করবে। অর্থাৎ চিন আশঙ্কা করছে, ভারত-আমেরিকা এশীয় প্রেক্ষিতে এক হলেই চিনের দুর্ভোগ বাড়বে।