শিনজো আবেকে মসজিদে নিয়ে গিয়ে কি ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলেন মোদী
জাপ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে নিয়ে ১৬-শ শতকে তৈরি সিদি সঈদ মসজিদে নিয়ে গিয়েছেন মোদী।
গুজরাত সফরে আসা জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন মহাত্মা গান্ধীর সরবমতী আশ্রম ঘুরে দেখানোর পাশাপাশি জাপ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে নিয়ে ১৬-শ শতকে তৈরি সিদি সঈদ মসজিদে নিয়ে গিয়েছেন মোদী। শুধু স্থাপত্যকলার বিশেষত্ব হিসাবেই নয়, আহমেদাবাদ শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থল এটি।
[আরও পড়ুন: ভারত-জাপ সম্পর্কে নতুন দিগন্তের সূচনা, এই ছয় বিষয়েই আরও মজবুত হচ্ছে সম্পর্ক]
গুজরাতের বহুধর্মী সংষ্কৃতির অন্যতম প্রতীক এই মসজিদ। হিন্দু-মুসলমান সংষ্কৃতির মিলনে অন্যতম অনুঘটকও বটে। গত জুলাই মাসে বিশ্ব হেরিটেজ শহরের তকমা পেয়েছে আহমেদাবাদ। এখানকার জৈন, বৈষ্ণব ও মহাজনদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এই শহরের ইসলামিক ইতিহাস নিয়ে খুব বেশি শব্দ খরচ করেননি কেউ।
এর আগে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অথবা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও গুজরাতের ধর্মীয় ঐক্য ও বিভিন্ন ধর্মের মিলন নিয়ে মোদীজি মুখ খোলেননি। এমনকী এর আগে কখনও এই মসজিদে তিনি আসেনওনি। তবে কি শিনজো আবেকে সঙ্গে এনে ইতিহাসের রথের চাকা অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করলেন মোদী? নাকি মুসলমান বিরোধী বলে যে তকমা তাঁর ও দলের গায়ে লেগে রয়েছে তা ঝেড়ে ফেলে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সামনে সারা বিশ্বকে নতুন বার্তা দিতে চাইলেন তিনি?
এর আগে মুসলিম পীর সঊদ ইমাম শাহী সঈদ মোদীকে ফেজ পরাতে গেলে তা পরতে অস্বীকার করেন তিনি। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও হয়েছিল। যদিও মোদী জানিয়েছিলেন, কোনও একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে খুশি করা নয়, সমাজের সকলের উন্নয়নই আমাদের আসল লক্ষ্য। যদিও তাতে সমালোচনা থামেনি। এরপরও নানা সময়ে মুসলমানদের সংস্পর্শ সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
সেজন্যই কি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে নিজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদী? নাকি সামনেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নতুন বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী? প্রশ্ন কিন্তু উঠতে শুরু করে দিয়েছে।