For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

সারদা কেলেঙ্কারি : একে একে ছাঁটা হচ্ছে সকলকে, তাতে দলের মান বাঁচবে তো? উঠছে প্রশ্ন

  • By Oneindia Staff Writer
  • |
Google Oneindia Bengali News

কলকাতা, ১৫ ডিসেম্বর : সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ঘরে-বাইরে বারবার আশঙ্কার মধ্যে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকায় কিনেছেন সুদীপ্ত সেন। প্রথমদিকে এই নিয়েই সরগরম ছিল রাজ্য-রাজনীতি।

এরপর যত সময় গড়িয়েছে সারদা নিয়ে বারবার মুখ পুড়েছে শাসক দলের। মাঝে একবছর রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তৈরি করে এই মামলার তদন্ত চালানো হয়েছিল। সেই সময়ে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, পরিকল্পনা করে সারদা সংক্রান্ত সমস্ত প্রমাণ লোপাট করার কাজটাই করা হয়েছিল এই সময়ে।

সারদায় একে একে ছাঁটা হচ্ছে সকলকে, তাতে দলের মান বাঁচবে তো?

আর একটা কাজ অবশ্য হয়েছিল। শাসক দলের প্রধানদের নামে প্রকাশ্য়ে মুখ খুলে সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেনের পরে প্রথম গ্রেফতার হন তৃণমূলের তৎকালীন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ।

তারপরও অবশ্য বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। বিরোধীদের করা আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের প্রত্যক্ষ নজরদারিতে আপাতত সেই তদন্ত চলছে। এবং তাতে একেরপর এক শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী সিবিআইয়ের জালে।

একসময়ের তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসু থেকে শুরু করে রজত মজুমদার, মদন মিত্র, তাপস পাল, শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় সহ অনেককে একাধিক চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার বা জেরা করেছে সিবিআই বা ইডি। এতে সর্বশেষ সংযোজন শঙ্কুদেব পণ্ডা।

সিবিআইয়ের কাছে মুখ খুলে প্রথমে কুণাল ঘোষ সাসপেন্ড হন। এরপরে সৃঞ্জয় বসু জেল খেটে বেরিয়ে দলের সাংসদ পদ ও সদস্য পদ সব ছাড়েন। মদন মিত্রকে বাধ্য হয়ে দলের মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে। এবং শঙ্কুদেবকে সোমবার দলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক রাখতেই নিষেধ করা হয়েছে শঙ্কুবাবুকে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তাতে কি দলের মান-ইজ্জত বাঁচবে? বছর ঘুরলেই যে বিধানসভা ভোট উঁকি মারছে। এই ঘটনা তাতে প্রভাব ফেলবে এটা বুঝতে পারছেন সকলেই। যদিও গত তিন বছরের ভোটের হিসাব বলছে, সারদা কেলেঙ্কারির প্রভাব ভোটবাক্সে সেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পড়েনি। ফলে বিরোধী শূন্য ময়দানে এযাত্রাও বাজি মারবে বর্তমান শাসকদলই।

তবে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ডকে সিঁড়ি করেই ২০০৯ পরবর্তী সকল ভোটে বৈতরণী পার করেছে তৃণমূল। এই অভিযোগ বারবার করেছে বিরোধীরা। সেই সারদা নামক পচা শাঁমুকে পা কাটবে না তো? আশঙ্কায় রয়েছে দলের নিচুতলা থেকে উপরতলা।

মুখে কিছু না বললেও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাপে রয়েছেন। ভোটের আগে সিবিআইয়ের চাপ আরও বাড়বে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। আর তেমন হলে শঙ্কুদেব যে সকল নেতা-মন্ত্রী-সাংসদের নাম সিবিআইকে দিয়ে এসেছেন, ঘাড়ে হাত পড়বে তাঁদেরও। তাহলে কি তৃণমূলের অপসারিত নেতা-মন্ত্রীদের তালিকা আরও দীর্ঘ হতে চলেছে? আশঙ্কা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে।

English summary
One after one leaders are being suspended, will it be a healthy sign for TMC?
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X