নিউ নর্মাল ডাইনিং–এ নতুন ট্রেন্ড ক্লাউড কিচেন, জেনে নিন এটা আসলে কী
নিউ নর্মাল ডাইনিং–এ নতুন ট্রেন্ড ক্লাউড কিচেন, জেনে নিন এটা আসলে কী
করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন, তার ওপর আর্থিক সঙ্কট সব মিলিয়ে দেশের রেস্তোরাঁ ইন্ডাস্ট্রির ওপর বিরাট ধাক্কা এসে পড়েছে। যার ফলে এই ক্ষেত্রের আয় শূণ্যে এসে নেমেছে। সংবেদনশীল পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে কীভাবে রাজস্বের উৎস বের করা যায় সেই চিন্তাকে সামনে রেখে এখন হোম ডেলিভারিকেই মডেল হিসাবে গ্রহণ করেছে রেস্তোরাঁ ইন্ডাস্ট্রি। আর তাই বর্তমান নিউ নর্মালে ক্লাউড কিচেন ভীষণভাবে ট্রেন্ডি।
ক্লাউড কিচেনের পথে মোমো কিং
খাঁটি হিমালয়ার খাদ্যের সম্ভার মোমো কিং নতুনভাবে তাদের ব্যবসার পরিকল্পনাকে সাজিয়ে নিয়েছেন এবং ক্লাউড কিচেন মডেল করে খাবার ডেলিভারির ওপরই মনোযোগ দিচ্ছে। এই মডেলটি কেবলমাত্র দিল্লি এনসিআরকেই ব্যাপকভাবে দখল করছে না, পাশাপাশি ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপও বাড়িয়ে তুলছে, আরও ভালভাবে সর্বোত্তম উপায়ে গ্রাহকদের সেবা করার লক্ষ্যে।
বর্তমান পরিস্থিতিকে বুঝতে পেরে এবং ভবিষ্যতে ব্যবসার কৌশলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোমো কিং সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই রেস্তোরাঁর শাখা বর্তমানে দিল্লি ও গুরুগ্রামে রয়েছে। মোমো কিং এই পরিস্থিতিকে গ্রহণ করে তাদের কর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে ও যোগাযোগবিহীন ডেলিভারির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
কী কী পাওয়া যায় মোমো কিং–এ
মোমো কিং জনপ্রিয় তাদের শুদ্ধ হিমালয়ের কুইজিন যেমন কোথে মোমো, সন্দেখো, ছইলা, ঝোল এবং আরও অনেক তিব্বত, ভুটান, সিকিম, নেপাল ও লাদাখের খাবারের জন্য। দিল্লি ও গুরুগ্রামের পাঁচ জায়গায় চলা এই মোমো কিং খাদ্য রসিকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
২০১৭ সালে ভারতে আসে মোমো কিং
মালেশিয়ার ব্র্যান্ডকে ২০১৭ সালে ভারতে নিয়ে আসেন শ্যাম ঠাকুর এবং বর্তমানে ৫টি ক্লাউড কিচেনের মাধ্যমে তারা হোম ডেলিভারি চালাবে। এই ব্র্যান্ডের পরিকল্পনা রয়েছে দিল্লি এনসিআরে আরও ২০-২৫টি ক্লাউড কিচেন খুলবে বছরের শেষে এবং তাদের ব্যবসা বিস্তৃত করবে। ক্লাউড কিচেনের মাধ্যমে ব্যবসা বাড়ানোর লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে তারা তাদের কিচেনকে আরও পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার কাজ করছে। সেখানে সামাজিক দুরত্ব সহ অন্যান্য নিয়মও কড়াকড়ি করে মানা হচ্ছে। রান্না যাতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নভাবে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হয় সেদিকে নজর রাখছে মোমো কিং।
শ্যাম ঠাকুরের আশ্বাস
ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা শ্যাম ঠাকুর বলেন, ‘মোমো কিং সবসময়ই তার গ্রাহকদের পরিস্থিতি নির্বিশেষে তাদের দক্ষতার সেরাটিতে সেবা দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করে আসছে। সরকার প্রদত্ত স্যানিটাইজেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা এবং অর্ডার প্রস্তুত করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে ব্র্যান্ডটি স্বাস্থ্য সঙ্কটের মধ্যেও দিল্লি এনসিআর জুড়ে লোককে উপভোগযোগ্য মোমো সরবরাহ করার লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরা মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ক্লাউড কিচেন এনেছি যাতে যোগাযোগহীন সুরক্ষিত ফুড ডেলিভারি হতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম প্যাকেজে করে গরম ও তাজা খাবার ডেলিভার করা হচ্ছে। খাদ্য রসিকদের মাথায় প্রথম যে নামটা আসে সেখানে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারায় আমরা গর্বিত।'