কংগ্রেসি পূর্বসূরিদের বারবার আক্রমণ করলেও নরেন্দ্র মোদী ইন্দিরা গান্ধীর সম্বন্ধে কিন্তু কিছু বলেন না
সাতসকালে প্রবণতা যা বলছে, তাতে নরেন্দ্র মোদীর ফের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
সাতসকালে প্রবণতা যা বলছে, তাতে নরেন্দ্র মোদীর ফের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। যদি তাঁর বিজেপি পূর্ণ জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে, তাহলে ষাটের এবং সত্তর দশকের পরে এই প্রথম কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে। শেষ প্রধানমন্ত্রী যিনি একক ক্ষমতায় এসেছিলেন ক্ষমতায় তিনি হলেন ইন্দিরা গান্ধী।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন সময়ে তাঁর কংগ্রেসি পূর্বসূরিদের নিশানা করলেও ইন্দিরা গান্ধীকে তিনি কিছু বলেন না। হ্যাঁ, ইন্দিরার মৃত্যুদিনে মোদী সরকার সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিনকে বেশি গুরুত্ব দেন ঠিকই, কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে মোদীকে দেখা যায়নি ইন্দিরার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে।
মোদীও ইন্দিরার মতো শক্তিশালী নেতা হিসেবে নিজেকে দেখতে ভালোবাসেন
এর প্রধান কারণ, মোদী নিজেকে ইন্দিরার মতো শক্তিশালী নেতা হিসেবে দেখতে ভালোবাসেন যিনি দেশের স্বার্থে সাহসী পদক্ষপ নিতে পিছু হটেন না। ইন্দিরার সময়ে জনসঙ্ঘ/আরএসএস বা সবে তৈরী হওয়া বিজেপি সেরকম প্রতাপশালী ছিল না।
আরএসএস/জনসঙ্ঘ/শিবসেনা কিন্তু ইন্দিরাকে অপছন্দ করত না
জওহরলাল-তনয়ার জীবনের শেষেরদিকে হিন্দুবাদী রাজনীতি আস্তে আস্তে মাথা তুলছে যদিও ১৯৭৭ সালে জুলিমিলি সরকারের মধ্যে গেরুয়া শিবিরের প্রতিনিধিরা ছিলেন। তবে ইন্দিরার ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব এবং বিশেষ করে একাত্তরের যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারানোর কারণে গেরুয়া শিবিরেও তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল যার রেশ আজকের মোদীর মধ্যেও রয়েছে। যদিও ইন্দিরার রাজনীতিতে প্রখর ব্যক্তিত্বের এবং বিদেশনীতিতে কৌশলগত প্রভাব বেশি ছিল; সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদী জিগির কম। ইন্দিরার মতো জনপ্রিয় নেত্রীকে মোদী রেহাই দেন কারণ তাঁকে নিশানা করে মোদীর বিশেষ রাজনৈতিক ফায়দা নেই। সেদিক থেকে নরমপন্থী নেহেরু, রাজীব বা মনমোহনের প্রতি আক্রমণ শানালে বরং জনসমক্ষে নিজের লৌহকঠিন ভাবমূর্তিকে আরও প্রতিষ্ঠিত করা সহজ।