রাহুলের চেয়ে ৪০০ ধাপ এগিয়ে মোদী, ২০১৯ লোকসভা ভোট নিয়ে সামনে এল আই-প্যাকের সমীক্ষা
ভোটারদের মনের অবস্থা জানতে অনলাইনে সমীক্ষা চালিয়েছিল দেশের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় নির্বাচনী স্ট্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাক।
আগামী বছরের লোকসভা ভোট উপলক্ষ্যে এখন থেকেই রাজ্যে রাজ্যে দামামা বেজে গিয়েছে বললে ভুল হবে না। বড় রাজনৈতিক দল তো বটেই, ছোট আঞ্চলিক দলগুলিও নিজেদের মতো করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। নতুন রণকৌশল তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। কোন দল কার সঙ্গে জোট বাঁধবে, কীভাবে আসন সমঝোতা হবে, এসবই মাথায় রেখে সকলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা কীভাবে নির্বাচনের লড়াইয়ে নামেন তা বেশ আকর্ষণীয় হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অনলাইন সমীক্ষায় এগিয়ে মোদী
এই অবস্থায় ভোটারদের মনের অবস্থা জানতে অনলাইনে সমীক্ষা চালিয়েছিল দেশের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় নির্বাচনী স্ট্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাক। তাঁদের সমীক্ষায় যে ফলাফল উঠে এসেছে তা বেশ চমকে দেওয়ার মতো। দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীকে ন্যূনতম চ্যালেঞ্জ করার মতো নেতাও বিরোধীদের নেই। দেশের মানুষ মোদীতেই আস্থা রেখেছেন।
বিরোধীদের থেকে শতযোজন এগিয়ে
নির্বাচনী স্ট্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাক বা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির অনলাইন সমীক্ষা বলছে, দেশের অ্যাজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কে সেরা? এই প্রশ্নে ৪৮ শতাংশ মানুষ নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিয়েছেন। সেখানে সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাহুল গান্ধী ভোট পেয়েছেন ১১ শতাংশ। তিনি আছেন দ্বিতীয় স্থানে।
রাহুলের চেয়ে ৪০০ ধাপ এগিয়ে
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, রাহুলের চেয়ে মোদী এগিয়ে ৪০০ ধাপ। তারপরে যে নেতা-নেত্রীরা রয়েছেন তাঁরা কেউ ৩, ৪, ৫ শতাংশ করে ভোট পেয়েছেন। ফলে সমীক্ষার প্রাথমিক ফলাফলে স্পষ্ট এখনও মোদীকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ উঠে আসতে পারেননি।
এগিয়ে মমতার চেয়েও
সমীক্ষার ফলাফল বলছে, বিরোধী মুখ হিসাবে প্রচার পাওয়া তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সহস্রযোজন পিছিয়ে রয়েছেন মোদীর চেয়ে। মোদী যেখানে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, সেখানে মমতা পেয়েছেন মাত্র ৪.২ শতাংশ ভোট। অরবিন্দ কেজরিওয়াল পেয়েছেন ৯.৩ শতাংশ ভোট। অখিলেশ যাদব ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। মায়াবতী পেয়েছেন ৩.১ শতাংশ ভোট।
আই-প্যাকের সাফল্য
এই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা এই আই-প্যাক ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময়ে নরেন্দ্র মোদীর হয়ে প্রচারের রণকৌশল সাজিয়েছিল। যার ফলে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। পরে বিহারের নির্বাচনের সময়ে নীতীশ কুমারের দলের হয়ে কাজ করেছেন প্রশান্ত কিশোর।